বঙ্গোপসাগরে ফের লঘুচাপের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা অনেকেই উপকূলে ফিরে এসেছেন। ফিশিং ট্রলারগুলো উপকূলের সবচেয়ে বড় মৎস্য বন্দরের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এতে হতাশা আর উৎকণ্ঠা নিয়ে সময় পার করছেন উপকূলের হাজারো জেলে।
বঙ্গোপসাগরে ফের লঘুচাপের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা অনেকেই উপকূলে ফিরে এসেছেন। ফিশিং ট্রলারগুলো উপকূলের সবচেয়ে বড় মৎস্য বন্দরের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এতে হতাশা আর উৎকণ্ঠা নিয়ে সময় পার করছেন উপকূলের হাজারো জেলে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার আলিপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দরে সমুদ্র থেকে আসতে শুরু করে মাছ ধরার ট্রলারগুলো। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে হঠাৎ দমকা বাতাস শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে তারা ফিরে আসতে শুরু করেন।
সমুদ্র থেকে ফিরে আসা এফবি কাজী ট্রলারের মাঝি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে হঠাৎ দমকা বাতাস শুরু হয়। আগাম সতর্ক হয়ে ঘাটে ফিরে এসেছি। এমনিতেই সমুদ্রে তেমন একটা মাছ পাচ্ছি না, এরমধ্যে আবার ধারাবাহিকভাবে চলছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
মৎস্য বন্দর আলীপুরের আড়তদার ব্যবসায়ী আবুল হোসেন কাজী বলেন, হঠাৎ ঝড়ো বাতাসের কারণে মাছ ধরার ট্রলার উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। আমরা যারা উপকূলের মৎস্য ব্যবসায়ী এবং জেলে পেশায় আছি তারা হতভাগা। কারণ বছরের অধিকাংশ সময়ই প্রাকৃতিক বাধার মুখে পড়তে হয় আমাদের।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, আবারও সাগরে একটি লঘুচাপের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দমকা বাতাসের কারণে সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। সতর্কতামূলকভাবে সকল মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে নিরাপদ থাকতে বলা হয়েছে। আগামী দুই দিন উপকূলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মাছ ধরা ট্রলারগুলো তীরে ফিরে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
এসএম আলমাস/এএমকে