মাসখানেকের মাঝে আরও একবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হারতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। বার্বাডোজের পর দুবাই। পুরুষ ক্রিকেটের পর নারী ক্রিকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ফাইনালের স্ক্রিপ্ট আর বদল হয়নি। দুইবারই রানতাড়া করতে নেমে হারতে হলো প্রোটিয়াদের। দুবাইয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের জয়ের গল্পটাও কম বীরত্বের না। সুজি বেটস আর সোফি ডিভাইনরা যে এই এক শিরোপার জন্য অপেক্ষা করেছেন ৯ আসর।
মাসখানেকের মাঝে আরও একবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হারতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। বার্বাডোজের পর দুবাই। পুরুষ ক্রিকেটের পর নারী ক্রিকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ফাইনালের স্ক্রিপ্ট আর বদল হয়নি। দুইবারই রানতাড়া করতে নেমে হারতে হলো প্রোটিয়াদের। দুবাইয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের জয়ের গল্পটাও কম বীরত্বের না। সুজি বেটস আর সোফি ডিভাইনরা যে এই এক শিরোপার জন্য অপেক্ষা করেছেন ৯ আসর।
২০০৯ এবং ২০১০ সালে পরপর দুই বছর নিউজিল্যান্ডের নারীদের হারতে হয়েছিল বিশ্বকাপের ফাইনালে। আর দক্ষিণ আফ্রিকা এসেছিল ২০২৩ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে ফাইনাল হারের তিক্ততা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয় হলো হোয়াইট ফার্নসদের। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তারা হারায় ৩২ রানের ব্যবধানে।
নিউজিল্যান্ডের বিশ্ব জয়ে আজ সবচেয়ে বড় ভূমিকা অ্যামেলিয়া কারের। ব্যাট হাতে ৪৩ রান করা অ্যামেলিয়া কার লেগ স্পিনে পরে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৪ ওভারে ২৪ রান দেওয়া অ্যামেলিয়া কারই হয়েছেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়। ব্যাট হাতে ১৩৫ রান করে ও ১৫ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন কার।
নারী ও পুরুষ দুই বিশ্বকাপ মিলিয়েই একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে নকআউট পর্বে ৪০+ রান এবং ৩ উইকেট শিকারের কীর্তিটাও গড়েছেন অ্যামেলিয়া। স্যাম কারানের পর মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সিরিজসেরা এবং ফাইনালের ম্যাচসেরা হওয়ার কৃতিত্বটাও দেখিয়েছেন অ্যামেলিয়া কার।
ফাইনালে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক লরা উলভার্ট। এটাই যেন বুমেরাং হয়ে ফিরল তাদের জন্য। জর্জিয়া প্লিমারের দুই চারে শুরু। ম্যাচ শেষেও উলভার্ট স্বীকার করে নিলেন ফাইনালে এত আগ্রাসী হবে নিউজিল্যান্ড, সেটা প্রত্যাশা করেনি তার দল।
সুজি বেটসের ৩২ আর ম্যাচসেরা অ্যামেলিয়া কারের ৪৩ এর চেয়ে এদিন আলাদা করে নজর কেড়েছেন ব্রুক হ্যালিডে। ২৮ বলে ৩৮ রানের ওই ইনিংসটাই দেড়শ এর মাত্রা ছাড়াতে সাহায্য করেছে নিউজিল্যান্ডের জন্য। ১৫৮ রানে যখন ইনিংস শেষ করেছে কিউই মেয়েরা, তখনই হয়ত কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে আসরের সেরা উদ্বোধনী জুটিও ছিল দক্ষিণ আফ্রিকারই। লরা উলভার্ট আর তাজমিন ব্রিটস ছিলেন। খেলেছেন দুজনেই দুর্দান্ত। শুরুতেই ৪১ বলে ৫১ রানের পার্টনারশিপ। কিন্তু এরপরেই আসরের সেরা তারকা অ্যামেলিয়া কারের আগমন। লরা উলভার্টের পাশাপাশি ফেরালেন আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে দেয়া আনিকা বশকেও।
৮ বলে ৮ রান করা মারিজানে কাপকে যখন ইডেন কার্সন ফেরালেন, ততক্ষণে হারের আভাস পেয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রোজম্যারি মায়ার একে একে ফেরালেন প্রোটিয়া মিডলঅর্ডারের ৩ ব্যাটারকে। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা থামল ১২৬ রানে। নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিত হয় ৩২ রানের ব্যবধানে।
জেএ