ফেনীতে বন্যায় সড়কে ক্ষতি ১৪০ কোটি টাকা

ফেনীতে বন্যায় সড়কে ক্ষতি ১৪০ কোটি টাকা

ভয়াবহ বন্যায় ফেনীর বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রেও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভাঙনের কবলে অনেক সড়কে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলায় এলজিইডি ও সড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়কের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ১৪০ কোটি ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। দেড় মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফার বন্যার কবলে পড়ে ভাঙাচোরা সড়কগুলোতে চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষজন। আবার কয়েকটি স্থানে এখনো সড়ক নিমজ্জিত রয়েছে বন্যার পানিতে। 

ভয়াবহ বন্যায় ফেনীর বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রেও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভাঙনের কবলে অনেক সড়কে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলায় এলজিইডি ও সড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়কের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ১৪০ কোটি ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। দেড় মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফার বন্যার কবলে পড়ে ভাঙাচোরা সড়কগুলোতে চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষজন। আবার কয়েকটি স্থানে এখনো সড়ক নিমজ্জিত রয়েছে বন্যার পানিতে। 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, জেলার ছয় উপজেলায় এলজিইডির ৪ হাজার ৩৫৬ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৩ হাজার ৩০৫ কিলোমিটার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আনুমানিক ৯৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্যমতে, বন্যায় জেলার ১৯টি সড়কের মধ্যে প্রায় সবগুলোই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আনুমানিক ৪০ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়কগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ৪ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সড়কগুলো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে পরশুরামের বীরচন্দ্র নগর এলাকার বাসিন্দা মো. ইউনুছ বলেন, মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফার বন্যায় পরশুরাম-সুবার বাজার সড়কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রথম দেখায় এখানে যে একটি সড়ক ছিল তাও বোঝার উপায় নেই। হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি দ্রুত সংস্কার না করলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হবে আমাদের।  

ফুলগাজীর জগতপুর এলাকার বাসিন্দা আল ইমরান বলেন, বন্যায় ইউনিয়নের প্রায় সবকয়টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মানুষজন বাড়ি থেকে বের হয়ে কোথাও যাবে, সেই অবস্থাও নেই। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আল ফারুক বলেন, বন্যার ভয়াবহতা সব জায়গায় আঘাত করলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিচু এলাকাগুলো। বন্যায় জেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি সড়ক পানিতে নিমজ্জিত ছিল। তারমধ্যে প্রায় ৫০০ কিলোমিটারের বেশি সড়কের বিভিন্ন অংশে ভেঙে গেছে। প্রায় ৪০টি ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করছি। দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে। 

ফেনী সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের আওতাধীন কিছু সড়কে এখনো পানি রয়েছে। চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। সরেজমিনে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। তবে এখন প্রাথমিক পর্যায়ে আনুমানিক ৪০ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। 

তারেক চৌধুরী/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *