ফাতিমা রা.-কে যে দোয়া শিখিয়েছিলেন প্রিয়নবী সা.

ফাতিমা রা.-কে যে দোয়া শিখিয়েছিলেন প্রিয়নবী সা.

রাসূল সা.-এর সর্বাধিক স্নেহের ও আদরের দুলালি হজরত ফাতিমা রা.। তিনি নবীজির চার মেয়ের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ।  নবীজির নবুয়তপ্রাপ্তির পাঁচ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন। প্রিয়নবীর বয়স তখন ৩৫ বছর। 

রাসূল সা.-এর সর্বাধিক স্নেহের ও আদরের দুলালি হজরত ফাতিমা রা.। তিনি নবীজির চার মেয়ের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ।  নবীজির নবুয়তপ্রাপ্তির পাঁচ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন। প্রিয়নবীর বয়স তখন ৩৫ বছর। 

ফাতিমা জাহরা রা. যখনই রাসুলের কাছে যেতেন রাসূল তাকে অভ্যর্থনা জানাতেন। মাথায় চুমো দিতেন। নবীজির ইন্তেকালের পর তিনি মাত্র ৬ মাস জীবিত ছিলেন। নবীজির শোকে এ সময় তিনি অনেক ভেঙে পড়েন, পিতৃবিয়োগে এতই কাতর হয়ে পড়েন যে, মৃত্যু পর্যন্ত ৬ মাস তাকে হাসতে দেখা যায়নি।

দ্বিতীয় হিজরিতে বদর যুদ্ধের পর আলী রা.-এর সঙ্গে ফাতিমা রা.-এর বিয়ে হয়। তাদের বিয়ের সময় যে মোহর নির্ধারণ করা হয়েছিলো তাকে ইসলামের ইতিহাসে মোহরে ফাতেমি বলা হয়। অনেক মুসলিম পরিবারে মেয়েদের বিয়ের সময় এই মোহরানা ধার্য করার প্রচলন রয়েছে।

ফাতিমা রা.-কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপদেশ, আমল ও দোয়া শিখিয়েছেন রাসূল সা.। যা উম্মতে মুহাম্মাদীর সবার জন্য উপকারী, অনুসরণীয় ও পালনীয়। এই দোয়াটি দারিদ্র্য-ঋণ থেকে মুক্তি এবং স্বচ্ছলতার জন্য পড়া যেতে পারে। 

দোয়াটি সম্পর্কে আবু হোরায়রা রা. বলেন—

একবার ফাতিমা রা. নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে একটি খাদেম চাওয়ার জন্য এলেন। তিনি তাকে বললেন, আমার কাছে এমন কিছু নেই যা তোমাকে দিতে পারি। তিনি ফিরে গেলেন। পরে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার কাছে গিয়ে বললেন, যা তুমি চেয়েছো, সেটিই কি তোমার কাছে অধিক প্রিয়, না যা তার চেয়ে উত্তম সেটি? আলি রা. স্ত্রীকে পরামর্শ দিলেন, বলো যা তার চেয়ে উত্তম সেটি। ফাতেমা রা. তাই বললেন। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি বলো,

اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَىْءٍ مُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ الْعَظِيمِ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَىْءٌ اقْضِ عَنَّا الدَّيْنَ وَأَغْنِنَا مِنَ الْفَقْرِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বিস-সামাওয়াতিস-সাবই ওয়া রাব্বিল আরশিল আযিম। রাব্বানা ওয়া রাব্বি কুল্লি শাইইন মুনাযযিলাত-তাওরাতি ওয়াল ইনজিলি ওয়াল কুরআনিল আযিম আনতাল আওয়ালু ফালাইসা কাবলাকা শাইউন ওয়া আনতাল আখিরু ফালাইসা বা’দাকা শাইউন ওয়া আনতাযযাহিরু ফা লাইসা ফাওকাকা শাইউন ওয়া আনতাল বাতিনু ফালাইসা দুনাকা শাইউন ইকজি আন্নাদ-দাইনা ওয়া আগনিনা মিনাল ফাকরি

অর্থ: হে আল্লাহ, সাত আসমানের প্রতিপালক ও মহান আরশের রব, আমাদের রব ও প্রতিটি জিনিসের রব, তাওরাত, ইনজিল ও মহান কোরআন নাজিলকারী, তুমি আদি, তোমার পূর্বে কিছু নাই, তুমি অন্ত, তোমার পরেও কিছু নাই, তুমি প্রবল, বিজয়ী ও প্রকাশ্য, তোমার ওপরে কিছু নাই, তুমি গুপ্ত, তুমি ছাড়া আর কিছু নাই। তাই তুমি আমাদের ঋণ পরিশোধ করে দাও এবং আমাদেরকে দারিদ্র্য থেকে স্বাবলম্বী বানাও। (সুনানে ইবনে মাজা: ২/৩৮৩১)

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *