রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটানো আরও ছয়টি ভবন চিহ্নিত করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এগুলো রাজধানীর মিরপুর, খিলক্ষেত ও উত্তরা এলাকায়।
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটানো আরও ছয়টি ভবন চিহ্নিত করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এগুলো রাজধানীর মিরপুর, খিলক্ষেত ও উত্তরা এলাকায়।
এর আগে রানওয়ের পাশে প্রিয়াংকা রানওয়ে সিটির ছয়টি ভবনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। নতুন ছয়টি নিয়ে এ পর্যন্ত এ ধরনের মোট ১২টি ভবন চিহ্নিত করা হলো। এছাড়াও বেসরকারি টেলিকম অপারেটর রবির একটি টাওয়ারও ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। ভবনগুলো দ্রুত অপসারণে রাজউকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে বেবিচক।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, বেবিচকের সরেজমিন পরিদর্শনে অনুমোদনের চেয়েও প্রায় দ্বিগুণ উচ্চতার এসব ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের অবৈধ অংশ অপসারণ বা ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভবনগুলো বিমানবন্দরের রানওয়ে-১৪ অ্যাপ্রোচ ফানেলের পাশে (উত্তরা, মিরপুর বেড়িবাঁধ, খিলক্ষেত সংলগ্ন) অবস্থিত।
বেবিচকের একটি টিম বিষয়টি বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়ার নজরে আনেন। সম্প্রতি তিনি এক চিঠিতে রাজউক চেয়ারম্যানকে ভবনগুলো অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন।
ভবনগুলো হচ্ছে– উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের কলাবতি ভবন-৫, কুর্মিটোলা এয়ারপোর্ট রোডের রবির টাওয়ার, খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এর সোহাগ ভিলা (রোড-১৬, প্লট ৪৯), নিকুঞ্জ-২ এর ১৪ নম্বর রোডের ক/৪ নম্বর ভুঁইয়া বাড়ি, মিরপুরের ই ব্লকের ১ নম্বর অ্যাভিনিউয়ের ওয়্যার ম্যাগ লিমিটেড (প্লট-১), খিলক্ষেতের তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ভবন এবং মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা ভবন।
এছাড়াও এর আগে উত্তরায় প্রিয়াংকা রানওয়ে সিটির ১ নম্বর রোডের প্লট নম্বর ৯, ১৩, ২৬, ৩০ ও ৩৬ এবং রোড নম্বর ৩ এর ৫১ নম্বর প্লট অনুমোদনের বাইরে অতিরিক্ত উচ্চতায় নির্মাণ করেছে বলে চিহ্নিত করেছিল বেবিচক।
বেবিচক জানায়, বেবিচক ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের ভবনগুলো ভেঙে ফেলতে বলেছে। যদি তারা উদ্যোগ না নেয় তবে বিকল্প ব্যবস্থায় ভবন অপসরণ করা হবে।
এআর/এসএসএইচ