সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা-চট্টগ্রাম) চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর অসন্তোষ ও ক্রটিপূর্ণ দাবি করে চাকরিপ্রার্থীরা পুনরায় প্রকাশের দাবি জানিয়েছে। দাবি আদায়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করে লাগাতার অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা-চট্টগ্রাম) চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর অসন্তোষ ও ক্রটিপূর্ণ দাবি করে চাকরিপ্রার্থীরা পুনরায় প্রকাশের দাবি জানিয়েছে। দাবি আদায়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করে লাগাতার অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা।
রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুরে অধিদপ্তরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
গত ৩১ অক্টোবর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। এরপর একে ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি করেন প্রার্থীদের একটি অংশ।
প্রার্থীদের অভিযোগ, চারটি সেটের পরীক্ষা হলেও সবগুলোর যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। আসন বৃদ্ধি করে পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানান তারা।
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের শিক্ষক নিয়োগের প্রকাশিত ফলাফলে ছয় হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এতে মোট চারটি সেটের মধ্যে সবগুলো সমানভাবে মূল্যায়ন না করার দাবি উঠেছে। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পদ্মা সেটের মাত্র ১ শতাংশ ফলাফল পেয়েছেন প্রার্থীরা। এছাড়া বুয়েট আগেও ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করেছে। তাদের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমন ফল এসেছে।
পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, নোয়াখালীর মেঘনা সেটে কারও রেজাল্ট আসেনি। এর আগে প্রিলির সময়ও এমন হয়েছে। রেজাল্ট পুনরায় মূল্যায়ন করার পর তা এসেছিল। ঠিক একই সমস্যা এখনও হয়েছে। তাই রেজাল্ট পুনর্মূল্যায়ন করা হোক।
তা ছাড়া, ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ জেলার একাধিক প্রার্থীও তাদের মেঘনা, সুরমা, যমুনা, পদ্মা সেট নিয়েও অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এবার তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের লিখিত, মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
এনএম/এমজে