প্রবাস থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাওয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা 

প্রবাস থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাওয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা 

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় প্রবাস থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাওয়ায় মো. সফিকুল ইসলাম ব্যাপারী (৩০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই পরিবারের ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় প্রবাস থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাওয়ায় মো. সফিকুল ইসলাম ব্যাপারী (৩০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই পরিবারের ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মতলব উত্তর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মো. সফিকুল ইসলাম ব্যাপারী উপজেলার মিঠুরকান্দি গ্রামের কলিম উল্লাহ ব্যাপারীর ছেলে। আটকরা হলেন- নিহতের ভাই আশিক ব্যাপারী (২৩), রবি উদ্দিন (৪৫), ভগ্নিপতি আজিজ প্রধান (২৮), বোন সিমা (৩০), রিনা (৩৮) ও লিপি আক্তার (৩৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মো. সফিকুল ইসলাম ব্যাপারী প্রবাস থেকে বাড়িতে আসেন। প্রবাসে থাকাকালীন পরিবারের সদস্যদের নামে টাকাপয়সা পাঠান। দেশে এসে পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠানো টাকাপয়সার হিসাব চান তিনি। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার ঝগড়া-বিবাদ হত। একপর্যায়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঝগড়া হলে পরিবারের সদস্যরা তার এক বোনের বাড়িতে হাত-পা বেঁধে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মারধর করা হয়। এর মধ্যে আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে সফিকুল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন।

তবে সফিকুল ইসলাম মাদকাসক্ত ছিলেন বলে দাবি করেন পরিবারের আটক সদস্যরা।

মতলব উত্তর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। মরদেহে আঘাতের অনেক চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

আনোয়ারুল হক/এমজেইউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *