জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ বাংলাদেশের ইতিবাচক সম্ভাবনার বার্তা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তবে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ নেই বলে দাবি করেন তিনি।
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ বাংলাদেশের ইতিবাচক সম্ভাবনার বার্তা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তবে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ নেই বলে দাবি করেন তিনি।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ভারতের বৈরিতার ব্যাপারে কোনো কথা নেই মন্তব্য করে সাইফুল হক বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সামাজিক ব্যবসার ধারণা সম্পর্কে দেশের অধিকাংশ মানুষই জানে না, এর কার্যকারিতা সম্পর্কেও প্রশ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, ভাষণে তিনি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেছেন, তার সরকারের অগ্রাধিকার সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন কিন্তু গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ করেননি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করতে এ ব্যাপারে তিনি একটা ধারণা দিতে পারতেন।
সাইফুল হক বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন থেকে শুরু করে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা বিষয়ে তিনি তার সরকারের অবস্থান নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। কিন্তু ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশিদের হত্যাসহ ভারতের মোদি সরকারের বাংলাদেশবিরোধী বৈরী তৎপরতা সম্পর্কে কোনো কিছুই উল্লেখ করেননি।
বিবৃতিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার কথা তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন কিন্তু দেশের অর্থ সম্পদ অল্প সংখ্যকের হাতে পুঞ্জীভূত হওয়া ও ধনী-গরিবের অবিশ্বাস্য ফারাক, শোষণ-বঞ্চনা ও বৈষম্য সম্পর্কে তার বক্তব্যে তেমন কিছু উল্লেখ নেই।
তিনি বলেন, এসবের পরও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ ব্যতিক্রমী সন্দেহ নেই। তার ভাষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের ইতিবাচক সম্ভাবনার বার্তাই দিয়েছে।
এএইচআর/এসএসএইচ