সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। একই সঙ্গে সংগঠনটি বলছে, পেশাদার ট্রাফিক পুলিশ সদিচ্ছার অভাবে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে।
সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। একই সঙ্গে সংগঠনটি বলছে, পেশাদার ট্রাফিক পুলিশ সদিচ্ছার অভাবে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফঅউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। যৌথভাবে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ জাহাঙ্গীর, ফেরদৌস খান ও অধ্যাপক হাসিনা বেগম।
এতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী কয়েকদিন সারা দেশের সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় আমাদের শিক্ষার্থীরা অসামান্য দক্ষতা দেখাচ্ছে। ফলে এই ক’দিন সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা একেবারে ন্যূনতম পর্যায়ে। পেশাদার ট্রাফিক পুলিশ যেখানে সদিচ্ছার অভাবে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ, সেখানে শিক্ষার্থীরা সফল হয়েছে। এজন্য রোড সেফটি ফাউন্ডেশন শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এখন শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ফিরে যাবেন, পড়ালেখায় মনোযোগী হবেন। তবে, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত সংকটকালে তারা যাতে ঝুঁকিমুক্তভাবে আরো দক্ষতার সঙ্গে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তাদের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি যাতে ভালোভাবে কাজ করে সেজন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যাপক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে তাদের অনন্য দেশপ্রেমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জ্ঞাপন করছে গভীর সমবেদনা। এদেশের যেকোনো সংকটে ছাত্রদের অবদানই সবচেয়ে বেশি। তাদের হাত ধরেই জাতি বারবার আলোর পথে উঠে দাঁড়িয়েছে। মূলত ছাত্র সমাজই আমাদের ভরসার জায়গা। সদা জাগ্রত এই ছাত্র সমাজের কারণে কোনো অন্ধকারই আমাদের বিনাশ করতে পারবে না।
এমএইচএন/এসএম