পুলিশের গুলিতে আহত ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু, মায়ের কবরের পাশে দাফন 

পুলিশের গুলিতে আহত ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু, মায়ের কবরের পাশে দাফন 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে আহত ছাত্রদল কর্মী মো. আসিফ (২০) চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় তার মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে আহত ছাত্রদল কর্মী মো. আসিফ (২০) চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় তার মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত আসিফ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারশিপুর ইউনিয়নের মীর আলীপুর গ্রামের আমির আলী মুন্সি বাড়ির মোরশেদ আলমের ছেলে। সে স্থানীয় কেন্দুরবাগ এলাকার একটি ওয়েল্ডিং কারখানায় কাজ করতেন। 

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বিকেলে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী থানার সামনে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আসিফসহ অসংখ্য মানুষ গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে আসিফকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় তিনি মারা যান।

নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসিফের বাবা একজন ভ্যানচালক। তার মা নেই। ৮ ভাই-বোনের সংসারে আর্থিক অবস্থার ভালো না থাকায় আসিফ পড়ালেখা না করে কাজে যোগদান করে। সে ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিল। তার মৃত্যুতে পরিবারটি একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তাকে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। 

সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শাহবাগ থানা পুলিশ কর্তৃক ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর আসিফের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সে অনুযায়ী পরিবার তার দাফনকার্য শেষ করে। গত ৫ আগস্ট থানায় হামলা ও হতাহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। সে মামলায় আসিফকে আহত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

হাসিব আল আমিন/আরকে 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *