লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নিষেধ করায় পেটে ও মুখে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে মো. জুয়েল (২৭) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আব্দুল কাদের নামে এক ব্যক্তি ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। তবে রফিক নামে অন্য এক ব্যক্তির সহযোগিতায় কাদের পালিয়ে যান।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নিষেধ করায় পেটে ও মুখে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে মো. জুয়েল (২৭) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আব্দুল কাদের নামে এক ব্যক্তি ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। তবে রফিক নামে অন্য এক ব্যক্তির সহযোগিতায় কাদের পালিয়ে যান।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের (৬-৭-৮) সীমান্তবর্তী এলাকায় কাশেম মেম্বারের বাড়ির মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) মো. রকিবুল হাসান ও কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত জুয়েল ওই এলাকার চৌধুরী সর্দার বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে ও পেশায় ইটভাটা শ্রমিক ছিলেন।
অভিযুক্ত কাদের চরকালকিনি ইউনিয়নের বাসিন্দা ও পেশায় জেলে নৌকার মাঝি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কাদের কয়েক মাস হয়েছে জুয়েলদের বাড়ির পাশে বাড়ি করে বসবাস করছেন। কাদেরসহ তার পরিবারের লোকজন জুয়েলদের বাড়ির পুকুরে নিয়মিত গোসল করে আসছেন৷ জুয়েলদের বাড়ির নারীরাও একই পুকুর ব্যবহার করেন। সোমবার (২৮ অক্টোবর) কাদের সেই পুকুরে গোসল করতে গেলে বাড়ির নারীদের নিরাপত্তায় জুয়েল তাকে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হয়।
এদিকে ঘটনার সময় জুয়েল বাড়ির পাশের দোকানে মশলা কিনতে যান। সেখানে কাদের তাকে ছুরি দিয়ে পেটে ও মুখে আঘাত করেন। স্থানীয়রা জুয়েলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে স্থানীয়রা অভিযুক্ত কাদেরকে আটক করে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। কিন্তু সাবেক ইউপি মেম্বার আবুল কাশেমের ছেলে রফিকের সহায়তায় কাদের পালিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও রফিকের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জুয়েলের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, পুকুরে গোসল করতে নিষেধ করায় কাদের আমার ছেলেকে খুন করেছে। কাদের ধারালো চাকু দিয়ে আমার ছেলের পেটের বাম পাশে ও মুখে আঘাত করেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জুয়েলের মৃত্যু হয়। তার শরীরে একাধিক ক্ষত ছিল।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এফআরএস