পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে যেসব খাবার

পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে যেসব খাবার

সবুজ শাক

পিরিয়ডের ব্যথা নিঃসন্দেহে একটি অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা। তবে এই অভিজ্ঞতা সবার ক্ষেত্রে এক নয়। বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে যা তাত্ক্ষণিক উপশম দিতে পারে, তবে এই ওষুধগুলি কি দীর্ঘমেয়াদে নিরাপদ? ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধগুলো কেবল ব্যথা এবং ক্র্যাম্প কমানোর জন্য, তবে স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রাকৃতিকভাবে এই ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাই সেগুলো বেছে নেওয়াই উত্তম। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে-

সবুজ শাক

সবুজ শাক ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর, যা পেশী শিথিল করতে এবং ক্র্যাম্পিং কমাতে সাহায্য করে। এতে আয়রনও রয়েছে যা পিরিয়ডের সময় হারানো পুষ্টি পূরণ করতে সহায়তা করে। তাই আপনার খাবারের তালিকায় নিয়মিত শাক রাখুন। এতে অন্যান্য উপকারও পাবেন।

বেরি

স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরির মতো বেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এই পুষ্টিগুলো প্রদাহ কমাতে এবং সুস্বাস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। এগুলো পিরিয়ডের সময় ক্র্যাম্পের তীব্রতা কমিয়ে দেয়।

কলা

কলা পটাসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা ফোলাভাব কমাতে এবং পেশীর কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে। এর প্রাকৃতিক শর্করা দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে, যা পিরিয়ডের সময় ক্লান্তি মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। তাই এসময় কলা রাখুন খাবারের তালিকায়।

আদা

পিরিয়ডের ব্যথা সহ বিভিন্ন অসুখের প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে আদা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। বাড়তি সুবিধার জন্য আদা চা ব্যবহার খেতে পারেন বা খাবারে তাজা আদা যোগ করুন।

ডার্ক চকোলেট

ডার্ক চকোলেট (অন্তত ৭০% কোকো সহ) পিরিয়ডের ব্যথা উপশম করতে একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে। এতে ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তবে একসঙ্গে খুব বেশি খাওয়া চলবে না, খেতে হবে পরিমিত।

চর্বিযুক্ত মাছ

স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিন জাতীয় মাছ ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আপনার ডায়েটে এগুলো যোগ করলে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারে।

গোটা শস্য

লাল চাল, কুইনোয়া এবং ওটসের মতো গোটা শস্যে প্রচুর ফাইবার থাকে। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। এগুলোতে বি ভিটামিনও রয়েছে, যা পিরিয়ডের ফলে সৃষ্ট ক্লান্তি এবং মুড সুইং কমাতে পারে।

হলুদ

হলুদে কারকিউমিন রয়েছে। এটি একটি যৌগ যা এর প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। আপনার খাবারে হলুদ যোগ করুন বা হলুদ চা পান করুন। এই অভ্যাস পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে এবং সামগ্রিক আরাম উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

এইচএন

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *