বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম বলেছেন, যেকোনো মূল্যে পাহাড়ের অস্থিতিশীল অপতৎপরতা রোধ করা হবে। সন্ত্রাসীদের রোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় প্রস্তুত আছে। শান্তি সম্প্রীতি উন্নয়ন এই তিন মূল মন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। উৎসবমুখর পরিবেশে নিরাপদে সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে।
আজ মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় চিকিৎসাসেবা ও বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেছেন।
রাইসুল ইসলাম আরও বলেন, কতিপয় দুষ্কৃতকারী পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে অপতৎপরতা করছে। গুজবে কান না দিয়ে বাঙালি ও পাহাড়িদের সকলকে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা সেনাবাহিনীর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মাটিরাঙ্গা জোনের মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন মো. মুঈদ-উল করিম চৌধুরী ও গুইমারা সিএমএইচ-এর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন সুমাইয়া রহমান, দন্ত চিকিৎসক ক্যাপ্টেন আরিফুল চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রায় ছয় শতাধিক পাহাড়ি বাঙালি জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়। .
এ ছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিওনের পক্ষ থেকে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের আওতাধীন ৪টি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে পূজা উদযাপন কমিটির কাছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা অনুদান তুলে দেন গুইমারা রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে টিন বিতরণ, বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার কোমলমতি শিশুদের মাঝে স্কুল ব্যাগ ও ছাতা, অসহায় পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন, সোলার এবং ৭০টি পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
মোহাম্মদ শাহজাহান/এনএফ