পার্বত্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পাহাড়ি-বাঙালি যেই হোক, সহিংসতার ঘটনার জন্য যে বা যারা দোষী তাদের কেউ ছাড় পাবে না। প্রতিটি ঘটনার মামলা এবং সঠিক বিচার নিশ্চিতসহ কেউ যাতে কোনো হয়রানি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে।
পার্বত্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পাহাড়ি-বাঙালি যেই হোক, সহিংসতার ঘটনার জন্য যে বা যারা দোষী তাদের কেউ ছাড় পাবে না। প্রতিটি ঘটনার মামলা এবং সঠিক বিচার নিশ্চিতসহ কেউ যাতে কোনো হয়রানি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সাম্প্রতিক সময়ে রাঙামাটি শহরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় আঞ্চলিক পরিষদ, বনরুপা মসজিদ, মৈত্রী বিহারসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়েও ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বস্ত করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপদেষ্টা প্রথমে আঞ্চলিক পরিষদ ভবন পরিদর্শন করেন। পরে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার (সন্তু লারমা) সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ২০ সেপ্টেম্বর শহরে বনরুপায় ঘটে যাওয়া সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন করেন। এ সময় ব্যবসায়ী, মসজিদ ও বিহার কমিটির সঙ্গে কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে আপাতত পর্যটক ভ্রমণ বন্ধ রাখা প্রয়োজন তাই বন্ধ রাখা রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে খুলে দেওয়া হবে। জনগণের আস্থা অর্জনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে প্রশাসন কাজ করছে।
উল্লেখ্য, রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মিশু মল্লিক/এমজেইউ