চলমান অস্থিতিশীলতার সুযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অষ্টম সিস্টার্স বানানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের একদল শান্তিপ্রিয় ছাত্র-জনতা।
চলমান অস্থিতিশীলতার সুযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অষ্টম সিস্টার্স বানানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের একদল শান্তিপ্রিয় ছাত্র-জনতা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ছাত্রজনতা’র আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি ‘সন্ত্রাসী’ কর্তৃক বাঙালিদের ওপর হামলা, হত্যা, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তারা, ‘উপজাতি কোটা বাতিল করো,’ উপজাতিদের আদিবাসী প্রচারণাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ঘোষণা দিতে হবে’, ‘কেউ নয় আদিবাসী, আমরা সবাই বাংলাদেশি’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসীদের এখনই দমন করতে হবে। না হলে সাজেক, রাঙামাটি, বান্দরবান যেতে ভিসা-পাসপোর্ট লাগবে। তাদের যে পরিমাণ অস্ত্র আছে, তা পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছেও নেই। তারা পাহাড় থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে তা দখল করতে চায়, চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়, পাহাড়কে তারা জুম্মল্যান্ড বানাতে চায়।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের মদদে জুম্মল্যান্ড বানানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যেকোনো সংঘাত হলেই সেটিকে ধামাচাপা দিতে নতুন ইস্যু তৈরি করে সন্ত্রাসীরা। তারা চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের আস্তানা বানাচ্ছে। তাছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির কেন্দ্র বানাচ্ছে। সন্ত্রাসীরা প্রতি বছর প্রায় ৪০০ কোটি টাকা চাঁদা তুলছে। সর্বশেষ কিছুদিন আগেও এক ব্যবসায়ীর কাছে তারা দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছে। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ফলে সেখানের সাধারণ বাঙালিরা দাস হিসেবে বসবাস করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, সেভেন সিস্টারের পাশাপাশি চট্টগ্রামে তারা অষ্টম সিস্টার্স বানানোর পরিকল্পনা করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল বাঙালিরা সব জায়গায় নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। আমাদের তারা সেটেলার বলে প্রচার চায়। আমরাও তো বলতে পারি আপনারা মঙ্গোলয়েড সেটেলার। পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করার, ভারতের সাথে যুক্ত করার এসব ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেব। আমরা সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।
কেএইচ/কেএ