২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন নাজমুল হাসান পাপন। নতুন করে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২৫ সাল পর্যন্ত তার সেই দায়িত্বের মেয়াদ রয়েছে। তবে ক্ষমতার পালাবদল চলছে বাংলাদেশে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরাও চলে গেছেন আত্মগোপনে। তাদের নির্দিষ্ট অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। পাপন কোথায় আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না এ নিয়ে কথা বলেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন নাজমুল হাসান পাপন। নতুন করে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২৫ সাল পর্যন্ত তার সেই দায়িত্বের মেয়াদ রয়েছে। তবে ক্ষমতার পালাবদল চলছে বাংলাদেশে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরাও চলে গেছেন আত্মগোপনে। তাদের নির্দিষ্ট অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। পাপন কোথায় আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না এ নিয়ে কথা বলেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
বিসিবির এই অন্যতম পরিচালক আজ (মঙ্গলবার) আবাহনীতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানে পাপনের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে সুজন বলেন, ‘না, উনার সঙ্গে এখনও কোনো যোগাযোগ হয়নি। জানিও না উনি কোথায় আছেন, সুতরাং বলতে পারব না। যদি যোগাযোগ হয় তাহলে কথা (বিভিন্ন বিষয়ে) বলতে হবে।’
বর্তমানে দেশের শাসনভার রয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে। যেখানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদকে। পাপনের অনুপস্থিতিতে তিনিই নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানালেন সুজন, ‘এখন পাপন ভাই নেই, যদিও এখনও উনি সভাপতি আছেন, যেহেতু পদত্যাগ করেননি। আসিফ মাহমুদ এসেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা হয়ে। উনি সিদ্ধান্ত নেবেন। বলে দিয়েছেন কী করতে হবে। যেহেতু এটা আর আমাদের হাতে নেই, বিসিবির হাতে নেই। এটা এখন সরকার পর্যায়ে চলে গেছে, বিশ্বকাপটা হবে কি না এটাও (তারা সিদ্ধান্ত নেবে)।’
এদিকে, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ছাত্রজনতার উল্লাসের সুযোগে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটে। যা থেকে বাদ যায়নি আবাহনী ক্লাবও। কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ট্রফি চুরি হওয়া নিয়ে দলটির কোচ সুজন বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা খেলোয়াড়। সবাই তো রাজনীতি করে না। ক্লাব ভেঙেছে, ঠিক আছে। ট্রফিগুলো কেন নিয়ে গেল, এটি কারও বোধগম্য নয়। এই ট্রফির সঙ্গে সবার আবেগ জড়িয়ে আছে। এটি নিয়ে কারও কোনো লাভ হবে না। এমন নয় যে, ট্রফিগুলো স্বর্ণের।’
যে দলই ক্ষমতায় থাকুক, খেলায় তার প্রভাব পড়া উচিৎ নয় বলে মনে করেন সাবেক এই ক্রিকেটার, ‘এমন না যে দেশে প্রথমবার নতুন করে পটপরিবর্তন হয়েছে। এর আগেও তো হয়েছে। মোহামমেডান বলতে বিএনপি বোঝায়, আবাহনী বলতে বোঝায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সময় কি মোহামেডান ক্রিকেট-ফুটবল খেলেনি? এটা তো ঠিক না। আমি মনে করি খেলার মধ্যে রাজনীতি ওভাবে চিন্তা করাটাই ঠিক না।’
এসএইচ/এএইচএস