পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্ট ম্যাচে হারানোর পর এবার সিরিজও জিতেছে বাংলাদেশ। ২-০ ব্যবধানের হারে শান মাসুদের দল হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে। এরপর বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত’র নজর ভারত সিরিজে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে টাইগাররা রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে। সেখানেও সতীর্থদের কাছে একই পারফরম্যান্স আশা করেন শান্ত।
পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্ট ম্যাচে হারানোর পর এবার সিরিজও জিতেছে বাংলাদেশ। ২-০ ব্যবধানের হারে শান মাসুদের দল হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে। এরপর বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত’র নজর ভারত সিরিজে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে টাইগাররা রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে। সেখানেও সতীর্থদের কাছে একই পারফরম্যান্স আশা করেন শান্ত।
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘পরবর্তী সিরিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই জয় আমাদের প্রচুর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। মুশফিক ও সাকিবের প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে এবং সেটা ভারত সিরিজের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এমন কন্ডিশনে মিরাজ যেভাবে বল করে ৫ উইকেট নিলো তা খুবই অসাধারণ। আশা করি ভারতের বিপক্ষেও সে একই কাজ করবে।’
এ ছাড়া পেসারদেরও প্রশংসা করেছেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘এই জয়ের মানেটা বিশাল। এর অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি সত্যিই খুশি। আমরা এখানে জয়ের খোঁজে ছিলাম এবং যেভাবে সবাই নিজেদের কাজটা করলো, তাতে আমি খুবই খুশি। আমাদের পেসারদের বোলিং নীতি খুবই অসাধারণ ছিল এবং এই কারণে আমরা এমন ফল পেয়েছি। সবাই নিজেদের প্রতি সৎ থেকেছে এবং জিততে চেয়েছে। আমি আশা করি, এটা বজায় থাকবে। সাদমান প্রথম টেস্টে যেভাবে ব্যাটিং করেছে তা দুর্দান্ত। এমনকি জাকিরও ইতিবাচকতা নিয়ে ব্যাট করে আমাদের মোমেন্টাম এনে দিয়েছে।’
বাংলাদেশের এই জয়ে ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডারদেরও অবদান দেখেন শান্ত। এমনকি একাদশের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররাও ফিল্ডিংয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য টাইগার অধিনায়কের, ‘সবাই অবদান রেখেছে এই জয়ে, বিশেষ করে একাদশে না থাকা সেই চার খেলোয়াড় যারা সুযোগ পায়নি। ফিল্ডিংয়ে দলকে খুবই দারুণ সহায়তা করেছে তারা। আশা করি, এই সংস্কৃতিটা বজায় থাকবে।’
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রান করা লিটন দাস ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কেবল নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। বাংলাদেশ দলের জন্য এই জয় বড় অর্জন এবং দলের অংশ হয়ে আমি সত্যিই খুশি। জুটির কৃতিত্ব মিরাজকে দিতে হবে। আঘাত পাওয়ার পর শুরুতে আমি রান করতে পারছিলাম না, সে আমাকে বলল কিছু বাউন্ডারি আদায় করে তাদের মোমেন্টাম সরিয়ে নিই এবং লাঞ্চ বিরতির পর তা আরও সহজ হয়ে যাবে। এটা দলীয় খেলা। এখানে ভালোভাবে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করা দরকার। প্রথম ইনিংসের প্রথমার্ধ বাদে সবাই ভালো খেলেছে।’
পুরো সিরিজে ১২টি ডিসমিসাল করেছেন বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক। এ নিয়ে লিটন বলেন, ‘আমি টেস্টে কিপিং করতে পছন্দ করি, এটাই আমার দায়িত্ব এবং যখন উইকেটের পেছনে ভালো করি তখন দলও ভালো করে। আমরা যখন এখানে আসি, তখন দেশের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। কিন্তু আমরা এখানে কঠোর পরিশ্রম করেছি। কোচিং স্টাফসহ সবাইকে এর কৃতিত্ব দিতে হবে। এমন গরমে খেলাটা সহজ নয়।’
এসএইচ/এএইচএস