পরিবারের বাধার পরও অবশেষে উত্তোলন করা হলো মেহেদীর মরদেহ

পরিবারের বাধার পরও অবশেষে উত্তোলন করা হলো মেহেদীর মরদেহ

পরিবারের বাধার পরও দীর্ঘসময় কালক্ষেপণ করে অবশেষে গত ৫ আগস্ট নিহত অটোচালক মো. মেহেদীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। দাফনের ৭১ দিন পর এসে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

পরিবারের বাধার পরও দীর্ঘসময় কালক্ষেপণ করে অবশেষে গত ৫ আগস্ট নিহত অটোচালক মো. মেহেদীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। দাফনের ৭১ দিন পর এসে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এর আগে, এদিন বিকেল ৩টায় প্রশাসন মেহেদীর মরদেহ উত্তোলন করতে এলে নিহতের পরিবার তাতে বাধা দেয়।

নিহত মেহেদী জয়পুরহাট জেলা শহরের নতুন হাট শেখপাড়ার বাসিন্দা। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিজয় মিছিল নিয়ে থানা এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। ঘটনার পরের দিন ৬ আগস্ট সকালে তার মরদেহ আলহেরা একাডেমি নগর এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ঘটনার পর ২০ আগস্ট দুপুরে জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি-১ আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদসহ ২১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত মেহেদীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার সৃষ্টি।

আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলনে গিয়েছিলেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রউফ। এ সময় জয়পুরহাট জেলা কারাগারের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ আলম শোভন, সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিজানুর রহমান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমসহ পুলিশ ও নিহত মেহেদীর পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মামলার বাদী ও নিহত মেহেদীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার সৃষ্টি, মেহেদীর মা ফাতেমা, দুই বোন আলেয়া ও সাবানা প্রথমে মরদেহ উত্তোলনে বাধা দেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা বলেন, আমরা মরদেহ তুলতে দেব না। প্রয়োজনে মামলা তুলে নেওয়া হবে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে কথা বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। বিকেল ৪টার পর পরিবারের লোকজন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তারা মরদেহ তোলার অনুমতি দিলে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে অবশেষে মরদেহ উত্তোলন শুরু করা হয়।

জয়পুরহাট জেলা কারাগারের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ আলম শোভন বলেন, মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে আবার মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।

জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রউফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা মেহেদীর মরদেহ আদালতের নির্দেশে উত্তোলনের জন্য এসেছিলাম। শুরুতে তার আত্মীয়-স্বজনদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তবে পরবর্তীতে সময়ক্ষেপণ করার পর নিহতের আত্মীয়-স্বজন মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি দেন।

চম্পক কুমার/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *