পটুয়াখালীতে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা নিয়ে ৭ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

পটুয়াখালীতে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা নিয়ে ৭ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

পটুয়াখালী সদর উপজেলায় জরায়ুমুখ ক্যান্সারের এইচপিভি টিকা নিয়ে উত্তর বাদুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (মাছুয়াখালী স্কুল) সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে অসুস্থ অবস্থায় সাত শিক্ষার্থীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পটুয়াখালী সদর উপজেলায় জরায়ুমুখ ক্যান্সারের এইচপিভি টিকা নিয়ে উত্তর বাদুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (মাছুয়াখালী স্কুল) সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে অসুস্থ অবস্থায় সাত শিক্ষার্থীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সচিন চন্দ্র দাস বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলো- পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাসুয়াখালী গ্রামের খোকন চৌকিদারের মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৩), মিজানুর রহমানের মেয়ে সাহেলা (১৪), সোহেল মৃধার মেয়ে সাইফা (১৩), হাফেজ এনামুল হকের মেয়ে নুসরাত জাহান মিম (১৩),বাদল সিকদারের মেয়ে তামান্না (১৪), মো. মোস্তফা কামালের মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৪) এবং জাকির চৌকিদারে মেয়ে তানজিলা আক্তার (১৩)। তারা সকলেই উত্তর বাদুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জরায়ুমুখ ক্যান্সারের এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার উক্ত বিদ্যালয়ের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৪২ জন শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণ করে। এদের মধ্যে নবম শ্রেণির সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারা শ্বাসকষ্ট, ঘাড়ে ব্যথা, বমিভাব, হাত-পা ঠান্ডা হওয়াসহ একাধিক সমস্যা অনুভব করলে সকলকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। এ সময় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নুসরাত জাহান মিমের মামা মো. আমিন খান বলেন, আজ বিদ্যালয়ে গিয়ে আমার ভাগনি টিকা দিলে সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাচ্চারা সুস্থ আছে কি না অথবা সকালে খাবার খেয়েছে কি না তা না জেনেই তারা সবাইকে টিকা দেয়। এ সময় আমার ভাগনিও অসুস্থ হইয়া পড়ে।

তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ জি এম জাহিদুর রহমান বলেন, গত ৫ তারিখ থেকে আমার বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এইচপিভি টিকা নিয়েছে। এদের মধ্যে আজ সাতজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওরা টিকা দেওয়ার সময়ই প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে। ভয়ের কারণেই হয়ত অসুস্থ হয়েছে। টিকায় কোনো সমস্যা থাকলে তো সবাই অসুস্থ হতো।

এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন এস এম কবির হাসান বলেন, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কথা আছে যেমন ভরপেটে টিকা দিতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা না খেয়ে চলে আসে এবং তা স্বীকারও করে না। এ কারণে হয়ত টিকা দেওয়ার পরে মাথা ঘুরানো অথবা ঝিমুনি দিয়েছে। এ ছাড়া মনস্তাত্ত্বিক কারণে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। আমি এখনই তাদের কাছে যাব, সেখানে গেলে সঠিক কারণ বোঝা যাবে। তবে আমি মনে করি এটা জটিল কোনো সমস্যা না।

এমজেইউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *