পঞ্চগড় নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চার শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আন্দোলনের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আমেনা খাতুন পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সংঘর্ষ এড়াতে প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এমনই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পঞ্চগড় নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চার শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আন্দোলনের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আমেনা খাতুন পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সংঘর্ষ এড়াতে প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এমনই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে আন্দোলনের তোপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ইনচার্জ আমেনা খাতুন। পরিস্থিতি শান্ত করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
নার্সিং কলেজ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ আমেনা খাতুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বিভক্তি দেখা দেয়। তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ইনচার্জ আমেনার পক্ষে থাকলেও প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা তার বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
বুধবার দুপুরে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ইনচার্জের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা জড়ালে শুরু হয় সংঘর্ষ। টানা ৬ ঘণ্টা আন্দোলনের পর বিকেল ৬টার দিকে জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন ও সেনাবাহিনীর অফিসারসহ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে পদত্যাগ করেন ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ আমেনা খাতুন।
শিক্ষার্থীদের একপক্ষের অভিযোগ, ইনচার্জের কাছে কিছু দাবি উত্থাপন করেছিলেন। দাবিগুলো মেনেও নিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তিনি ক্লাসে ঢুকে যারা এই দাবি তুলেছিল তাদের শায়েস্তা করতে ইনস্টিটিউটে তার ছেলের মাধ্যমে বহিরাগতদের ঢোকানোর হুমকি দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইনচার্জের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করতে গেলে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এতে অনেকে আহত হয়েছেন।
আরেক পক্ষের অভিযোগ, ওরা ইনচার্জকে ঘরে ঢুকিয়ে মারধর করছিল। আমাদেরকেও ঢুকতে দিচ্ছিল না। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদেরও মারধর করা হয়।
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় পঞ্চগড় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ পদত্যাগ করেছেন। মূলত কলেজে দুটি গ্রুপের একটি গ্রুপ চায় ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ পদত্যাগ করুক। আরেক পক্ষ চেয়েছিল পদত্যাগ না করুক। এ কারণে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ডিসি মহোদয়ের ডিজিএনএম বরাবর কথা বলছি। এই পরিস্থিতির স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এসকে দোয়েল/আরকে