বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন পঞ্চগড়ের পাঁচজন। আর্থিক সহায়তাসহ খাদ্য উপহার তুলে দিতে শহীদ পরিবারের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন পঞ্চগড়ের পাঁচজন। আর্থিক সহায়তাসহ খাদ্য উপহার তুলে দিতে শহীদ পরিবারের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) শহীদদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর এবং সমস্যার কথা শুনেছেন তিনি।
ছাত্রজনতার গণঅভুত্থানে গত ৫ আগস্ট শহীদ হয়েছেন পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের কীত্তিনীয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে সাগর রহমান, ১৯ জুলাই ঢাকায় মোহাম্মদপুরে দোকানে পলিথিন আনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের নতুন বস্তি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আবু ছায়েদ, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় মিছিলে গিয়ে প্রাণ হারান সাকোয়া ইউনিয়নের আমিন নগর গ্রামের হামিদ আলীর ছেলে সুমন ইসলাম, ৫ আগস্ট দেবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেলাপাড়া গ্রামের আজহারের ছেলে শাহাবুল ইসলাম শাওন ও ৫ আগস্ট একদফা দাবিতে আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন সাজু। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর এক সপ্তাহের মাথায় ১১ আগস্ট রাতে মারা যান। তিনি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের ভাউলাগঞ্জ ইউনিয়নের টোকরাভাসা গ্রামের আজহার আলীর ছেলে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ অর্থ ও উপহার হিসেবে ফলমূল তুলে দেওয়া হয়।
যোগ্যতাভিত্তিক চাকুরির ব্যবস্থা, চিকিৎসাসহ সব ধরনের সহযোগিতা আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।
এসকে দোয়েল/এমজে