পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ট্রেজারার অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর পদত্যাগ করেছেন।
পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ট্রেজারার অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে তিনি নিজেই ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ভিসি-প্রোভিসি-ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে আসছেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে ভিসিসহ কর্মকর্তাদের শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবির সমন্বয়করা। অন্যথায় সবাইকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুমকি দেওয়া হয়। ট্রেজারার অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর পদত্যাগ করলেও ভিসি-প্রোভিসি-রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করেননি ফলে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা।
আরও জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরকে নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগ হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। বিষয়টি আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকেও অবহিত করেছি।
এদিকে শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় ভিসি-প্রোভিসি-রেজিস্ট্রারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বনী ইয়ামিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে এই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। তাদের কখনো এই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমাদের ক্যাম্পাসে যত সমস্যা আছে, তা আমরা সবাই মিলে সমাধান করবো।
হাসিব আল আমিন/এমএসএ