নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল বাকী পদত্যাগ না করায় নোবিপ্রবিতে অনির্দিষ্টকালের ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল বাকী পদত্যাগ না করায় নোবিপ্রবিতে অনির্দিষ্টকালের ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, ভিসির বাসভবন, ভি.আই.পি গেস্ট হাউস, অ্যাকাডেমিক ভবন-১ ও ২ এবং লাইব্রেরি ভবনে তালা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবির সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভিসি, প্রো-ভিসি পদত্যাগ না করায় পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আজ (বুধবার) দুপুর ১টা থেকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করা হলো। তারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এই শাটডাউন চলমান থাকবে। শাটডাউন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন/অফলাইনসহ সব ধরনের প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা, জরুরি পরিষেবা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিবহন সেবা এবং বিশেষ কিছু অ্যাকাডেমিক ল্যাব কার্যক্রম এই শাটডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।
এর আগে, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে নোবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম গণমাধ্যমকে বলেন, কর্তৃপক্ষ না বলার কারণে তিনি পদত্যাগের কোনো কারণ দেখছেন না। কারণ তার পদটি একটি সাংবিধানিক পদ। সবাই পদত্যাগ করে চলে গেলে, বিশ্ববিদ্যালয় চলবে কি করে? যারা তাদের জায়গায় আসতে চাইছেন তারা কেউ আসতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে হয়, তা তিনি জানেন।
নোবিপ্রবি উপাচার্য আরও বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন, ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ্ডগোল হয়েছে। নোয়াখালীতে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। তাই পদত্যাগ করার জন্য সরকার থেকেও কিছু বলেনি।
জানা যায়, গত ৭ আগস্ট নোবিপ্রবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ, ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক, হল প্রভোস্টদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবিসহ চার দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবি শাখার সমন্বয়করা। এরমধ্যেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অন্যরা পদত্যাগপত্র জমা দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করেননি। যদিও রেজিস্ট্রার জসীম উদ্দিনকে ওএসডি করা হয়।
বিক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিভিন্ন ব্যাঙ্গাত্মক স্লোগানে ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রারের কুশপুতুল দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।
হাসিব আল আমিন/এএমকে