রংপুরে নেশার টাকা সংগ্রহের জন্য ফ্রিল্যান্সার আলোকচিত্রী সিয়াম মিয়াকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান আসামি স্বাধীন মিয়া।
রংপুরে নেশার টাকা সংগ্রহের জন্য ফ্রিল্যান্সার আলোকচিত্রী সিয়াম মিয়াকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান আসামি স্বাধীন মিয়া।
সোমবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন।
গ্রেপ্তার স্বাধীন মিয়া গংগাচড়া উপজেলার গঞ্জিপুর মাঝপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে।
সিয়াম হত্যার প্রধান আসামি স্বাধীন মিয়ার তথ্য মতে, নিহত সিয়াম মিয়া ভিন্নজগত বিনোদন পার্কে তার নিজস্ব ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার পাশাপাশি খলেয়া গঞ্জিপুর বাজারে ইট-বালু বিক্রির ব্যবসা করতেন। হত্যাকাণ্ডের ৩-৪ দিন আগে সিয়াম মিয়া তার ব্যক্তিগত ক্যামেরাটি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। নেশার টাকা সংগ্রহ করার জন্য সিয়াম মিয়ার কাছে থাকা ক্যামেরা বিক্রির টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে স্বাধীন মিয়াসহ তার সহযোগীরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৭ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের ক্যানেলের বাঁধের পূর্ব পাড়ের ওপর ফোন করে কৌশলে সিয়ামকে ডেকে নেন তারা। এরপর সহযোগীরা মিলে সিয়ামের গলা ও মাথায় ছুরিকাঘাত করেন। একপর্যায়ে সিয়ামের পরিহিত টি-শার্ট খুলে গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন স্বাধীন। পরে সিয়াম মিয়ার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ১ হাজার ১৫০ টাকা ও মোবাইল ফোন এবং সিয়াম মিয়ার ব্যবহৃত পুরাতন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান তারা।
এ বিষয়ে রংপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার স্বাধীন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এফআরএস