লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে জনস্বাস্থ্য বিভাগের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট নির্মাণকাজ চলছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) দিনব্যাপী উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চর নেয়ামত এলাকায় শ্রমিকদেরকে প্লান্টের কাজ করতে দেখা যায়।
মামলা সূত্র জানায়, আলী হায়দার নামে চরসীতা এলাকার এক ব্যক্তি ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর চরনেয়ামত গ্রামে ১ একর জমি রামগতি পৌরসভার কাছে বিক্রি করে। কিন্তু তিনি জমির মালিক নয়। পরে রামগতি পৌরসভা জমি দখল করতে গেলে তখন ফসল নষ্টের অভিযোগে ফরহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা করেন। এর মধ্যেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট নির্মাণে বিরোধীয় জমিটি বুঝিয়ে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে গেল বছর জনস্বাস্থ্য বিভাগ কাজ শুরু কর। পরে গেল বছরের ২৯ নভেম্বর জমি ফেরত পেতে প্রকৃত মালিক নুরুল আমিনরা আদালতে মামলা করে। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গত ১৪ অক্টোবর আদালত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট নির্মাণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন।
জমির মালিকপক্ষের সদস্য গোলাম হোসেন বলেন, হায়দার ভূমি অফিসের মাধ্যমে খতিয়ানে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। এতে ঘটনাস্থলের ১ একর জমি রামগতি পৌরসভার কাছে বিক্রি করে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। জমি ফেরত পেতে আমরা আদালতে মামলা করেছি। আদালত বর্জ্য প্লান্ট নির্মাণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা মানছে না জনস্বাস্থ্য বিভাগ তারা কাজ চলমান রেখেছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তানবীরুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট নির্মাণে পৌরসভা আমাদেরকে জমি বুঝিয়ে দিয়েছে। এরপর আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা বা কোনো মামলার বিষয় আমার জানা নেই।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসন বলেন, প্লান্ট নির্মাণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমাকে জানায়নি।
এ ব্যাপারে রামগতি পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ রেজা বলেন, আমি এখানে নতুন। আগের মেয়র কিভাবে জমি নিয়েছেন, তা আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে জানাব।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরকে