নির্ঘুম রাত কাটল বৈরুতবাসীর, আশ্রয়ের খোঁজে বাস্তুচ্যুতরা

নির্ঘুম রাত কাটল বৈরুতবাসীর, আশ্রয়ের খোঁজে বাস্তুচ্যুতরা

ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর (আইএএফ) টানা হামলায় শুক্রবার আতঙ্কিত, নির্ঘুম রাত কেটেছে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বাসিন্দাদের। শুক্রবার প্রায় সারা রাত ধরে বৈরুতের বিভিন্ন এলাকায় বোমা ফেলেছে আইএএফ।

ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর (আইএএফ) টানা হামলায় শুক্রবার আতঙ্কিত, নির্ঘুম রাত কেটেছে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বাসিন্দাদের। শুক্রবার প্রায় সারা রাত ধরে বৈরুতের বিভিন্ন এলাকায় বোমা ফেলেছে আইএএফ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা এনএনএ, শুক্রবার রাতজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বৈরুতের বিভিন্ন এলাকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৯১ জন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু আবাসিক ভবন।

হিজবুল্লার সেক্রেটারি জেনারেল এবং প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করে শনিবার সন্ধ্যায় এই হামলা পরিচালনা করেছিল আইএএফ। তবে লক্ষ্য সফল হয়নি। হিজবুল্লার একাধিক উচ্চপর্যায়ের সূত্র মারফত জানা গেছে, নাসরুল্লাহ বেঁচে আছেন এবং সুস্থ আছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী অবশ্য জানিয়েছে যে হতাহতদের মধ্যে কয়ে জন হিজবুল্লা কমান্ডার এবং বেশ কয়েকজন যোদ্ধা রয়েছে।

এদিকে, গতকাল রাতে বৈরুতে যখন বোমা-গোলা নিক্ষেপ করছিল ইসরায়েলের বিমান বাহিনী— সে সময় বাসা-বাড়ি থেকে আতঙ্কে ছুটে বেরিয়ে আসছিলেন সাধারণ লোকজন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে লেবাননে অবস্থান করছেন। তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ৩ টার সময় লোকে লোকারণ্য ছিল বৈরুতের বিভিন্ন সড়ক, পার্ক, যাত্রী ছাউনি প্রভৃতি। তুলনামূলকভাবে বেশি ভিড় ছিল সাগর তীরবর্তী মেরিন ড্রাইভ এবং তার সংলগ্ন এলাকাগুলেতে।

যারা জড়ো হয়েছিলেন, তাদের প্রায় সবাই ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বোমা হামলা থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে এসেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকে সড়কের পাশের বেঞ্চি কিংবা ডিভাইডারের ওপর বসে কথা বলছেন, কেউ বা বেঞ্চি কিংবা ফুটপাতের ওপর ঘুমাচ্ছেন। নারীদের অনেকেই ব্যস্ত ছিলেন শিশুদের ঘুম পাড়াতে, খোলা আকাশের নিচেই।

লেবাননের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা হামরা স্ট্রিটের একটি বড় আকারের ভবন খালি পড়ে ছিল। বোমা হামলার আতঙ্কে বাড়ি ঘর ছেড়ে আসা লোকজনদের অনেকেই ফটক ভেঙে সেই ভবনটির ভেতরে ঢুকে পড়েন।

যারা বাড়িঘর থেকে বেরিয়েছেন, তাদের প্রায় কেউই সামান্য কাপড়-চোপর, কম্বল এবং প্রয়োজনীয় টুকিটাকি জিনিসপত্র ছাড়া কিছুই সঙ্গে আনতে পারেননি। তবে এত বড় দুর্যোগের মধ্যেও তারা সাহস হারিয়ে ফেলেননি।

৬০ বছর বয়সী এক নারী সিএনএনকে বলেন, “আমি আমার জীবনে এই প্রথম এমন অবস্থা দেখছি। এর আগে কখনও বৈরুতে বিমান হামলা ঘটেছে বলে আমি জানি না।”

“আমরা ঠিক আছি এবং আমি বিশ্বাস করতে চাই যে আমাদের বাড়িঘরও ঠিক আছে। আমি কোনো দুশ্চিন্তা করছি না।”

সূত্র : সিএনএন

এসএমডব্লিউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *