নিয়তির কী নির্মম পরিহাস! ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বললেন সোহেল তাজ

নিয়তির কী নির্মম পরিহাস! ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বললেন সোহেল তাজ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন অ্যাখ্য দিয়ে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বলেন, নিয়তির কী নির্মম পরিহাস যে ছাত্র সংগঠন ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলার মানুষের সকল লড়াই সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলো সেই ছাত্রলীগ তারই অপকর্মের জন্য নিষিদ্ধ হলো। 

তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর তাদের একটা বিবৃতি পরে আমি খুবই বিচলিত হলাম যেখানে তারা বলছে তাদের অতীত ভূমিকার কথা। ভাষা আন্দোলন, ছয় দফাসহ স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদানের কথা বলছেন নির্লজ্জের মত- আমি ওনাদেরকে বলব আপনারা এই সব কথা বলা থেকে দয়া করে বিরত থাকুন কারণ আপনারাই ছাত্রলীগকে গত ১৫ বছর হত্যা/ধ্বংস করে একটি গুন্ডা সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত করেছেন। 

সোহেল তাজ বলেন, ছাত্র/জনতা গণঅভুত্থানে জনগণের সাথে না থেকে এই সংগঠনকে ব্যবহার করা হয়েছে হিংস্রভাবে মানুষ হত্যা এবং নির্যাতনের হাতিয়ার হিসাবে। এই দায় কোন ভাবেই এড়ানো যাবে না বর্তমান ছাত্রলীগ এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ আর স্বাধীনতা সংগ্রামের ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ কোন ভাবেই এক না। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস টেনে এই জাতির গর্বের স্থানগুলিকে বিতর্কিত করার অধিকার আপনাদের নাই। 

সর্বশেষ তিনি যোগ করেন- ছাত্রলীগ/আওয়ামী লীগের ব্রেইন ওয়াশড নষ্ট পচা নীতি/আদর্শ বিচ্যুত লুটেরা খুনি হত্যা গুম নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলবো অনতিবিলম্বে আমার এই ফেইসবুক পেইজটি আনফলো করতে- আর অনুরোধ থাকবে নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মোপলব্ধি আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করার। 

মঙ্গলবার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। পরে একদিনের মাথায়ই নিষিদ্ধ করা হয় ছাত্রলীগকে। প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়।  

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাঙালির স্বাধিকারের বিভিন্ন আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এই ছাত্র সংগঠন। তবে সময়ের পরিক্রমায় ছাত্রলীগ একাধিক ধারায় বিভক্ত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজেদের মধ্যে দলাদলি, অন্তর্কোন্দল, হামলা-মারামারি, খুন, শিক্ষার্থী নির্যাতন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ছাত্রলীগের সমালোচনা হয়েছে।

এনএফ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *