বাংলাদেশের টেস্ট একাদশে নাহিদ রানা একেবারেই নবীনতম সংযুক্তি। গতির ঝড় তুলেই এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। রাওয়ালপিন্ডিতেও ছিল সেই ঝড়। উইকেটের সংখ্যায় খুব বড় কিছু করতে না পারলেও বাবর আজমের মহাগুরুত্বপূর্ণ এক উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এই রানাই।
বাংলাদেশের টেস্ট একাদশে নাহিদ রানা একেবারেই নবীনতম সংযুক্তি। গতির ঝড় তুলেই এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। রাওয়ালপিন্ডিতেও ছিল সেই ঝড়। উইকেটের সংখ্যায় খুব বড় কিছু করতে না পারলেও বাবর আজমের মহাগুরুত্বপূর্ণ এক উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এই রানাই।
পেস অ্যাটাকে রানা তৃতীয়। নতুন বলে শুরুটা করেন শরিফুল হাসান এবং হাসান মাহমুদ। তাসকিন আহমেদ এলে তাকে দেখা যেতে পারে এই ভূমিকায়। তবে আপাতত রানাকে গড়ে তোলার চেষ্টাটা নিবিড়ভাবেই করছেন শরিফুল এবং হাসান। নিজেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি সময় পার না করলেও নাহিদ রানাকে শেখাচ্ছেন অভিজ্ঞতার পুরোটা দিয়েই।
গতকাল বিসিবির ভিডিও বার্তায় নাহিদ রানা নিজেই শোনালেন মাঠের সেই অভিজ্ঞতা। পাকিস্তানে প্রথম টেস্ট নিয়ে বলেন, ‘ভাইয়ের (হাসান) সঙ্গে বোলিং করে অনেক ভালো লেগেছে। যখন আমি বোলিং করি, শুরুর দিকে একটু ব্যাকফুটে ছিলাম। ভাইয়া ও শরীফুল ভাই দুজনে মিলে বুঝিয়েছে, লাইন-লেন্থ ঠিক করে বোলিং করতে। আমি যখন এক স্পেলের পর আরেক স্পেলে বোলিংয়ে আসছি, দুজনে বুদ্ধি দিয়েছে। এটা-ওটা করলে কী হয় এসব বলে অনেক সাহায্য করেছে।’
সেই ভিডিও বার্তায় আরেক পেসার হাসান মাহমুদও শোনালেন নিজেদের বোঝাপড়ার গল্প, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপটাই ভিন্ন। সে হিসেবে ও (নাহিদ) খুব তাড়াতাড়ি খাপ খাইয়ে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। যত তাড়াতাড়ি ও খাপ খাইয়ে নিতে পারবে, ওর জন্য ভালো। আমরা চেষ্টা করছি, ওকে যত গোছানো যায় ম্যাচের মধ্যে। ওকে সাহস দেওয়া, অনুপ্রাণিত করা, সবকিছু মিলিয়ে ও যাতে ম্যাচে ভালো করতে পারে এটাই চেষ্টা করি।’
হাসান আরো বলেন, ‘আমরা পেসাররা সবাই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি অনুশীলনে, এর প্রভাবটাই আসলে ম্যাচে পড়েছে। দেখা গেছে, দুই পাশ থেকে আমি শরীফুল বোলিং করছি, পরে রানা আসল। ও আমাদেরকেও সাহায্য করেছে। দলের জন্য তার অনেক অবদান ছিল।’
এসএইচ/জেএ