থাইল্যান্ডে ৬৪ বছর বয়সী এক নারীকে দুই ঘণ্টা পেঁচিয়ে রেখেছিল বিশালাকৃতির একটি অগজর। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
থাইল্যান্ডে ৬৪ বছর বয়সী এক নারীকে দুই ঘণ্টা পেঁচিয়ে রেখেছিল বিশালাকৃতির একটি অগজর। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। অ্যারম নামের এই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, তিনি তার বাড়ির বাইরে থালাবাসন ধোয়ার কাজ করছিলেন। তখন তিনি নিজের উরুতে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। ওই সময় নিচে তাকিয়ে দেখেন ১৩ থেকে ১৬ ফুট লম্বা একটি অজগর তাকে পেঁচিয়ে ধরছে।
তিনি বলেন, “আমি পানি সেচার জন্য বসি। ঠিক তখনই সাপটি আমাকে কামড় দেয়। তাকিয়ে দেখি এটি আমাকে পেঁচিয়ে ধরছে।”
সাপটি যখন তাকে ধরে তখন তিনি তার রান্না ঘরের মেঝেতে পড়ে যান। তিনি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে অজগরটি তাকে আরও শক্ত করে ধরে।
“আমি এটির মাথা ধরে ফেলি। কিন্তু সাপটি আমাকে ছাড়েনি। উল্টো আরও শক্ত করে পেঁচিয়ে ধরে।”— বলেন এই নারী।
ওই সময় বাঁচার জন্য চিৎকার শুরু করেন তিনি। প্রথমে কেউ শুনতে পায়নি। একটা সময় তার এক প্রতিবেশী কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে দ্রুত পুলিশে খবর দেন।
স্থানীয় পুলিশের কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা নারীকে সাপের দ্বারা পেঁচানো দেখে খুবই অবাক হয়েছি। এটি সত্যিই অনেক বড় সাপ ছিল।”
পুলিশ এবং প্রাণী বিশেষজ্ঞরা লোহার শাবল দিয়ে সাপটির মাথায় আঘাত করেন। কিন্তু এটি তাও নারীকে ছাড়ছিল না। এরপর তারা অব্যাহতভাবে এটির মাথায় আঘাত করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সাপটি তাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু ওই সময় এটি পালিয়ে যায়। সবমিলিয়ে নারীকে দুই ঘণ্টা পেঁচিয়ে রেখেছিল অজগরটি।
এদিকে অজগর সাপের কোনো বিষ নেই। তাই এটির কামড়ে কারও মৃত্যু হয় না। তবে সাপটি তার শিকারকে পেঁচিয়ে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এরপর গিলে ফেলে।
এমটিআই