শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় মাছ ব্যবসায়ী মো. মিলন মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের নামে আরও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় মাছ ব্যবসায়ী মো. মিলন মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের নামে আরও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া এনটিভি ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি বিল্লাল হোসনে রবিন এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ফরহাদ হোসাইনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, এ মামলায় আরও অনেককেই আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, রোববার (১৮ আগস্ট) দিনগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করা হয়। নিহত মিলনের স্ত্রী মোসাম্মাৎ শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ২১ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় দিয়ে মাছের আড়তে যাচ্ছিলেন মিলন মিয়া। এ সময় ১ থেকে ৩ নম্বর আসামির নির্দেশে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের লোকজন একত্রিত হয়ে সমবেত ছাত্র জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করেন। সেখানে মিলন মিয়া বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুই ভাগিনা শাকিব ও মানিকসহ আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় কনক হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সাইনবোর্ডে অবস্থিত প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জুলাই রাত সাড়ে ১২টার দিকে মিলন মারা যান।
এ মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমীরে ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলের মতিউর রহমান মতি, শাহজালাল বাদল, নুর উদ্দিন মিয়া, রুহুল আমিন মোল্লা ও ইফতেখার আলম খোকন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়াসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, দুই গণমাধ্যমকর্মীকে হত্যা মামলায় আসামি করায় এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রেসক্লাবের সব সদস্যসহ সিদ্ধিরগঞ্জের সাংবাদিকরা। তারা অবিলম্বে দুই গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সিদ্ধিরগঞ্জের সাংবাদিকরা বলেন, পূর্বের ন্যায় গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হয়রানি অব্যাহত আছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এর আগে, নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবুল হাসান স্বজন (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হয়। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এমপি শামীম ওসমানসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এফআরএস