নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানসহ সাবেক ৫ এমপির বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানসহ সাবেক ৫ এমপির বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে শাওন আহম্মেদ (২২) নামে এক যুবদলকর্মী নিহতের ঘটনায় দুই বছর পর মামলা হয়েছে। এতে নারায়ণগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলকে প্রধান করে এবং শামীম ওসমান ও সাবেক পাঁচ এমপিসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে শাওন আহম্মেদ (২২) নামে এক যুবদলকর্মী নিহতের ঘটনায় দুই বছর পর মামলা হয়েছে। এতে নারায়ণগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলকে প্রধান করে এবং শামীম ওসমান ও সাবেক পাঁচ এমপিসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নিহতের বড় ভাই মিলন মিয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম।

 

মামলার আসামিরা হলেন— প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জের সদ্য সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। সেইসঙ্গে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের একেএম আসনের সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের লিয়াকত হোসেন খোকাসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরের আলী আহাম্মদ চুনকা মিলনায়তনের সামনে থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি বিশাল র‌্যালি বের করে। র‌্যালিটি নগরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ এবং পরে গুলিবর্ষণ করে। ঘটনার এক পর্যায়ে ডিবি পুলিশের তৎকালীন এসআই মাহফুজুর রহমান কনক চায়নিজ রাইফেল দিয়ে একের পর এক গুলিবর্ষণ করলে যুবদল কর্মী শাওন আহাম্মদ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সেইসঙ্গে পুলিশের গুলিতে আহত হন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ২৫ নেতাকর্মী।

মামলার বাদী মিলন মিয়া বলেন, আমার ভাই শাওন ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট একটি ঘটনা ছিল। কিন্তু পুলিশ ঘটনার পর প্রথমে আমার ভাইকে যুবলীগ কর্মী বানাতে চেয়েছিল। সেটিতে ব্যর্থ হয়ে ভাইয়ের মরদেহ আটকে রেখে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরে জানতে পারি আমি নাকি বিএনপির পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।

এরপর আমি আদালতে মামলাটির বিষয়ে নারাজি দিলে পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বাধ্য হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই সময় আমার পরিবারকে পুলিশ জিম্মি করে রেখেছিল। যে কারণে আমি ভাই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারিনি। এখন দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছি। আশা করছি এ সরকারের আমলে ভাই হত্যার ন্যায় বিচার পাবো।

মেহেদী হাসান সৈকত/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *