নামাজ শুরুর জন্য কি আরবিতে নিয়ত করতেই হবে?

নামাজ শুরুর জন্য কি আরবিতে নিয়ত করতেই হবে?

একজন মুসলমানের জীবনে ঈমানের পরই নামাজের অবস্থান। নামাজ নিয়মিত আদায় করা জরুরি। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নামাজ আদায়ের কথা বলেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং তুমি নামাজ কায়েম করো দিনের দুই প্রান্তে ও রাতের কিছু অংশে। নিশ্চয়ই নেক আমল মন্দ কর্মগুলোকে দূর করে দেয়। স্মরণকারীদের জন্য এটি একটি স্মারক।’ (সূরা হুদ, আয়াত : ১১৪)

একজন মুসলমানের জীবনে ঈমানের পরই নামাজের অবস্থান। নামাজ নিয়মিত আদায় করা জরুরি। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নামাজ আদায়ের কথা বলেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং তুমি নামাজ কায়েম করো দিনের দুই প্রান্তে ও রাতের কিছু অংশে। নিশ্চয়ই নেক আমল মন্দ কর্মগুলোকে দূর করে দেয়। স্মরণকারীদের জন্য এটি একটি স্মারক।’ (সূরা হুদ, আয়াত : ১১৪)

এই আয়াতে বর্ণিত দিনের দুই প্রান্ত ও রাতের কিছু অংশের নামাজ হলো ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব ও এশা।

অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘এবং তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ৪৩)

একই সুরার আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘এবং তোমরা নামাজ কায়েম করো ও জাকাত আদায় করো এবং (স্মরণ রেখো) তোমরা যেকোনো সৎকর্ম নিজেদের কল্যাণার্থে সম্মুখে প্রেরণ করবে, আল্লাহর কাছে তা পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যেকোনো কাজ করো আল্লাহ তা দেখছেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১১০)

কোরআনে শুধু নামাজ আদায়ের প্রতি আদেশই করা হয়নি। নামাজের গুরুত্ব অনুধাবনে হাদিসে বলা হয়েছে, কিয়ামতের দিন হিসাব-নিকাশ শুরুই হবে নামাজের মাধ্যমে। নামাজের হিসাব না দিলে কেউ এক পা সামনে এগোতে পারবে না। রাসূল সা. বলেছেন, ‘নিশ্চয় কেয়ামতের দিন বান্দার যে কাজের হিসাব সর্বপ্রথম নেওয়া হবে তা হচ্ছে নামাজ। সুতরাং যদি তা সঠিক হয়, তাহলে সে পরিত্রাণ পাবে। আর যদি (নামাজ) খারাপ হয়, তাহলে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৬৪, তিরমিজি, হাদিস : ৪১৩, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪২৫)

কোরআন-হাদিসের নির্দেশনামতে একজন মুসলমানের জন্য নামাজের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত জেনে ও মেনে ঠিকমতো নামাজ পড়া আবশ্যক।

নামাজে যেসব বিষয় ফরজ তার একটি হলো নিয়ত করা। প্রত্যেক আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। আর নামাজের শুরুতে নিয়ত করা ফরজ। 

নামাজের নিয়তের ক্ষেত্রে অনেকেই বলে থাকেন আরবিতে নিয়ত পড়া জরুরি। এই ধারণা থেকে তারা অন্যদেরও আরবিতে নিয়ত পড়ার জন্য উৎসাহ দেন। আবার অনেকে বলেন, আরবিতে নিয়ত না করলে নামাজ হবে না। 

এক্ষেত্রে আলেমদের মতামত হলো— নিয়ত মূলত অন্তরের সংকল্পকেই বলা হয়। তাই যখন যেই ওয়াক্তের নামাজ আদায় করা হবে তখন সেই ওয়াক্তের নিয়ত অন্তরে রাখতে হবে। নিয়ত আলাদাভাবে আরবি বা বাংলা কোনো ভাষায়ই মৌখিক উচ্চারণের প্রয়োজন নেই। 

(ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৩/২৪০)

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *