নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ীতে আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গুমের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুমের শিকার হাবিবুর রহমানের বড় ভাই সফিউল্লাহ বাদী হয়ে নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬৭ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। নরসিংদী আদালতের আইনজীবী রাকিব হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ীতে আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গুমের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুমের শিকার হাবিবুর রহমানের বড় ভাই সফিউল্লাহ বাদী হয়ে নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬৭ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। নরসিংদী আদালতের আইনজীবী রাকিব হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও নরসিংদী–৫ (রায়পুরা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজুকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদের মধ্যে নরসিংদীর সাবেক পুলিশ সুপার আমেনা বেগমসহ রায়পুরা থানা ও জেলা পুলিশের ৪৮ সদস্যের নাম রয়েছে।
নরসিংদী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার পিংকি অভিযোগটি সিআইডিকে এফআইআর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত কারার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক পুলিশ সুপার ছাড়া অন্যরা হলেন- নরসিংদী জেলা পুলিশের সাবেক এএসপি (রায়পুরা সার্কেল) বেলাল হোসেন, সাবেক ওসি আজহারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, তৎকালীন সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) আরও ৬৩ পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা।
মামলার লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৬ জুন দুপুরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি রূপ মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার ৭ বছর পার হলেও গুম হওয়া ৪ জন বাড়িতে ফেরেননি।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের পরিবার তাদের সন্ধান চেয়ে করা সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজনের বাধা দেয় এবং হয়রানি করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এই গুমের সঙ্গে সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু ও তার ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ পার্থ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
নরসিংদী সিআইডির সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাহফুজা আক্তার বলেন, আমাদের হাতে এখনও মামলার কপি আসেনি। যদি আজকে মামলা দায়ের করা হয়, তাহলে ২-৩ দিন পর পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসবে।’
তন্ময় সাহা/এমটিআই