একশর আগেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল আফগানিস্তান। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মোহাম্মদ নবি ও হাশমতউল্লাহ শাহিদি। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মিলে ইতোমধ্যেই অবিচ্ছিন্ন থেকে শত রানের জুটি গড়েছন। দুজনেই পেয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান।
একশর আগেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল আফগানিস্তান। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মোহাম্মদ নবি ও হাশমতউল্লাহ শাহিদি। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মিলে ইতোমধ্যেই অবিচ্ছিন্ন থেকে শত রানের জুটি গড়েছন। দুজনেই পেয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান।
৪০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান।
এর আগে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটিকে বেশি দূর এগোতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ৫ রান করা রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাসকিনের বলে আউট হয়েছেন এই ওপেনার। তাই স্বাভাবিকভাবেই ডানহাতি এই পেসারকে খেলতে মানসিকভাবে কিছুটা হলেও পিছিয়ে থাকেন গুরবাজ।
তাসকিনের মতোই নিজের প্রথম ওভার করতে এসে উইকেটের দেখা পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৮ম ওভারের দ্বিতীয় বলটি অফ স্টাম্পের ওপর করেছিলেন মুস্তাফিজ। আউট সুইং করে বের হয়ে যাওয়া বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রহমত শাহ। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ রানের বেশি করতে পারেননি।
নিজের পরের ওভারে ফিরে আবারও ব্রেকথ্রু দিয়েছেন মুস্তাফিজ। এবার তার শিকার সেদিকুল্লাহ অটল। আলোচিত এই ওপেনারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ইনসুইং করে ভেতরে আসা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি অটল, সরাসরি তার পায়ে আঘাত হানে। সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে ২১ রান করেন অভিষিক্ত এই ওপেনার।
দুই বল পর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকেও ফিরিয়েছন মুস্তাফিজ। মিডল স্টাম্পের ওপর করা খানিকটা খাটো লেংথের বল আউট সুইং করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কাট করতে যান আজমতউল্লাহ। কিন্তু টাইমিং হয়নি, তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৩ বল খেলে ডাক খেয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
৩৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আফগানদের হাল ধরেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি ও গুলবাদিন নাইব। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটারের ব্যাটে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল আফগানিস্তান। তবে এই জুটিকেও বড় হতে দেননি তাসকিন আহমেদ।
ইনিংসের ২০তম ওভারের শেষ বলটি খাটো লেংথে করেছিলেন তাসকিন। ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে পারেননি গুলবদিন নাইব। মিডউইকেটে তানজিদ তামিমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩২ বলে ২২ রান করে। গুলবাদিন ফেরায় ভাঙে ৩৬ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন নবি ও শাহিদি। নবি ৫২ বলে ফিফটি করেন। আর শাহিদি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ৮৭ বলে। দুজনেই এখন হাত খুলে খেলছেন। তাতে লড়াই করার মতো পুঁজি গড়ার স্বপ্ন দেখছে আফগানরা।
এইচজেএস