দ্রব্যমূল্য-বাড়িভাড়া বৃদ্ধিতে জীবনধারণ কঠিন হয়েছে শ্রমিকদের

দ্রব্যমূল্য-বাড়িভাড়া বৃদ্ধিতে জীবনধারণ কঠিন হয়েছে শ্রমিকদের

বর্তমানে দ্রব্যমূল্য ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধির কারণে পূর্বের মজুরিতে জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে। মজুরি নির্ধারণে এ বিষয়টি জোরালোভাবে বিবেচনায় রাখতে হবে। এ ছাড়া বোর্ডের মানসম্পন্ন পরিচালনা পদ্ধতিও নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

বর্তমানে দ্রব্যমূল্য ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধির কারণে পূর্বের মজুরিতে জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে। মজুরি নির্ধারণে এ বিষয়টি জোরালোভাবে বিবেচনায় রাখতে হবে। এ ছাড়া বোর্ডের মানসম্পন্ন পরিচালনা পদ্ধতিও নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে এক সম্মেলন কক্ষে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্য ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধির কারণে পূর্বের মজুরিতে জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে। মজুরি নির্ধারণে এ বিষয়টি জোরালোভাবে বিবেচনায় রাখতে হবে। এ ছাড়া বোর্ডের মানসম্পন্ন পরিচালনা পদ্ধতিও নির্ধারণ করা দরকার এবং সেক্টরের সংখ্যা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

বর্তমানে মোট ৫৬টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে এবং এটির পরিবীক্ষণে পরিদর্শন অধিদপ্তরের দায়িত্ব রয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখ করে জানানো হয়, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, মজুরির বিষয়টি অর্থনৈতিক হলেও মজুরি নির্ধারণের বিষয়টি হয়ে যায় রাজনৈতিক। এ বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা কেউই এড়াতে পারেন না।

অনুষ্ঠানে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন, নিজস্ব সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় রেখেই মজুরি বোর্ডকে কাজ করতে হচ্ছে। শ্রমিকপক্ষ তাদের অধিকারের কথা মালিকপক্ষের মতো জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারেন না। এ কথা মালিকপক্ষকে বিবেচনায় রেখে তাদের শ্রমিকবান্ধব হতে হবে।

‘বাংলাদেশে নিম্নতম মজুরি : প্রয়োগ ও কার্যকারিতার সন্ধানে’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ, বিলসের মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান, সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ, নির্বাহী পরিষদের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এনামুল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ, আইএলওর প্রকল্প কর্মকর্তা নিরান রামজুঠান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোস্তাফিজ আহমেদ প্রমুখ।

এএসএস/এমজে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *