মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে দোলাচল শুরু হয়েছে। যদিও এখনই বাংলাদেশ মেগা টুর্নামেন্টটি আয়োজনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়নি। তবে দেশে সরকারের বদল ও বোর্ড কর্মকর্তাদের অনেকেই নিখোঁজ থাকাসহ সঙ্গত কারণে কিছুটা নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময় নিয়েছে বিসিবি। এরইমাঝে বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহ দেখিয়েছেন জিম্বাবুয়ে।
মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে দোলাচল শুরু হয়েছে। যদিও এখনই বাংলাদেশ মেগা টুর্নামেন্টটি আয়োজনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়নি। তবে দেশে সরকারের বদল ও বোর্ড কর্মকর্তাদের অনেকেই নিখোঁজ থাকাসহ সঙ্গত কারণে কিছুটা নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময় নিয়েছে বিসিবি। এরইমাঝে বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহ দেখিয়েছেন জিম্বাবুয়ে।
ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, ক্রিকইনফো জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপ আয়োজনে ইচ্ছার কথা নিশ্চিত হয়েছে। সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপের (২০১৮ ও ২০১৩) বাছাইপর্ব আয়োজন করে তারা নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে এবং নতুন করে মূল টুর্নামেন্ট আয়োজনেও আগ্রহী। এর আগে ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
এরপর অবশ্য লম্বা সময় ধরে দেশটিতে কোনো বড় টুর্নামেন্ট হচ্ছে না। যদিও এর পেছনে যৌক্তিক কারণ রয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের শাসনকালে (২০০৫-২০১১) দেশটিতে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি, দেশকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা ও জোরপূর্বক নীপিড়ন চালানো হয়েছিল। এ ছাড়া রোডেশিয়ানরাও উত্তীর্ণ হতে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল আসরে। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ তিন আসরেই তারা ছিটকে গেছে বাছাইপর্ব থেকে। জিম্বাবুয়ের নারী দলও এখন বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ। সে কারণে এবার তারা আয়োজন সত্ত্ব পেলে দেশটি হবে বিশ্বকাপের নিরপেক্ষ ভেন্যু।
এদিকে, জিম্বাবুয়ের মাটিতে যৌথভাবে (নামিবিয়ার সঙ্গে) ২০২৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ সালে সিনিয়র জাতীয় দলের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন (দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার সঙ্গে) সত্ত্ব রয়েছে। বর্তমানে জিম্বাবুয়েতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনায় দুইয়ের অধিক স্টেডিয়াম রয়েছে এবং স্থানীয় সরকারের সঙ্গে আরও সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ভিক্টোরিয়া ফলস ও মিউটার স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ চলছে।
জিম্বাবুয়েতে খেলা হলে সাধারণত স্কুল শিক্ষার্থীদের দিয়ে গ্যালারি পূর্ণ থাকতে দেখা যায়। যেখানে দর্শক ধারণ ক্ষমতা থাকে ১০ হাজার জনের। তবে তাদের চেয়ে এদিক থেকে ঢের এগিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তাদের বিশ্বমানের স্টেডিয়ামে ২০ হাজার দর্শকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। তবে জিম্বাবুয়ে তুলনামূলক কম খরচে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারে এই যুক্তিতে তারা আয়োজক সত্ত্ব পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
আরেকটি প্রতিবেদনে ক্রিকবাজ বিকল্প আয়োজক হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথা উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে মেগা টুর্নামেন্টটি সরে গেলে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে হবে মেয়েদের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সর্বোচ্চ আসর। আইসিসি চাচ্ছে দুবাই/আবুধাবিতে বিশ্বকাপ আসর সরিয়ে নিতে, তবে এজন্য বিসিবির পক্ষ থেকে কয়েকদিন সময় চাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে আগামী ২০ আগস্ট ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে বসবে আইসিসি। তারা চাচ্ছে সেই সময়ের মধ্যে যেন বিসিবি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
এএইচএস