জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংলাপে জাতীয় পার্টিকে না ডাকার পেছনে আওয়ামী লীগের তিনটি নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার অজুহাত সঠিক নয়। আমার কাছে এটি খুবই অদ্ভুত মনে হয়েছে। দেশের উন্নয়নের সাথে আমাদের দলের ইতিহাস আছে, দীর্ঘদিন রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্তর্বতীকালীন সরকারকে আমরা বলে এসেছি তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে জাতীয় পার্টি। কিন্তু হঠাৎ করে সংলাপে ডাকা হলো না শাস্তি স্বরূপ এবং সেটিকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। যা আমাদের জন্য বিব্রতকর।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংলাপে জাতীয় পার্টিকে না ডাকার পেছনে আওয়ামী লীগের তিনটি নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার অজুহাত সঠিক নয়। আমার কাছে এটি খুবই অদ্ভুত মনে হয়েছে। দেশের উন্নয়নের সাথে আমাদের দলের ইতিহাস আছে, দীর্ঘদিন রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্তর্বতীকালীন সরকারকে আমরা বলে এসেছি তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে জাতীয় পার্টি। কিন্তু হঠাৎ করে সংলাপে ডাকা হলো না শাস্তি স্বরূপ এবং সেটিকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। যা আমাদের জন্য বিব্রতকর।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা থেকে বিমানযোগে রংপুরে এসে নগরীর দর্শনায় পল্লী নিবাস বাসভবনে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি একমাত্র দল যারা সন্ত্রাসবাদ, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, হাট দখল, জমি দখল, অবৈধ ব্যবসা, লুটপাটের সাথে কখনো জড়িত ছিল না। বিএনপির আমলে আমরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছি, আর আওয়ামী লীগের আমলে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। ষড়যন্ত্র মানে দল ভাগ করে দেওয়া, ক্ষমতা অন্যত্র চলে যাওয়া। আওয়ামী লীগ বড় ধরনের দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দলকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিল।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বি। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, বেকারত্ব বাড়ছে। মানুষ মিল-কারখানা চালাতে পারছে না, উপার্জন কমে যাচ্ছে। সরকারের সামনে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো, মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা ও বেকারত্ব দূর করা। এর সাথে রাজনৈতিক অস্থিরতা তো কিছুটা আছেই।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় কর্তৃত্বময় সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের ওপর যে জুলুম করা হচ্ছে, আমরা মজলুম হলে দেশের জনগণ অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এবং আমাদের পক্ষে থাকবে। আমরা সঠিক পথে রয়েছি। আমরা এগুলোকে পাত্তা দিচ্ছি না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে তিনি বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। তবে তাদের দোষারোপ করা যাবে না। সরকার ভগ্ন স্তূপের মাঝে দায়িত্ব নিয়েছে। প্রশাসন নড়বড়ে, অর্থনীতি নাজুক, আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এর ওপর মানুষের পাহাড় সমান প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে।
এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এইচএম ইয়াসির আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন লেবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর