দুর্গাপূজার ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সৈকত

দুর্গাপূজার ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সৈকত

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে টানা চারদিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। তিল ধারণের ঠাঁই নেই সৈকতে। সাগরতীরজুড়ে শুধু পর্যটক আর পর্যটক। নোনাজলে সব বয়সের মানুষ মেতেছে আনন্দ-উল্লাসে। সেইসঙ্গে প্রিয় মুহূর্তগুলো উপভোগ করছেন প্রিয়জনের সঙ্গে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা ছুটিতে কয়েকশ কোটি টাকা ব্যবসা হবে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে টানা চারদিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। তিল ধারণের ঠাঁই নেই সৈকতে। সাগরতীরজুড়ে শুধু পর্যটক আর পর্যটক। নোনাজলে সব বয়সের মানুষ মেতেছে আনন্দ-উল্লাসে। সেইসঙ্গে প্রিয় মুহূর্তগুলো উপভোগ করছেন প্রিয়জনের সঙ্গে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা ছুটিতে কয়েকশ কোটি টাকা ব্যবসা হবে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সরজমিনে দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য ছিল। টানা ছুটিতে সৈকতে এসেছেন প্রায় ২ লাখ পর্যটক। উত্তাল সমুদ্রে গোসল, বালুচরে দৌড়ঝাঁপের পাশাপাশি তারা ছুটে বেড়াচ্ছেন জেলার পর্যটন পল্লীগুলোতে। তবে এবার বিপুল পর্যটকের কারণে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে অগ্রিম বুকিং বন্ধ করে দিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটক রুবেল হোসেন বলেন, অনেকদিন ধরে ঘরবন্দি ছিলাম। তার মধ্যে পার্বত্য এলাকাগুলোতে ভ্রমণ নিষিদ্ধ আছে। তাই পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে আসলাম। তবে মানুষের ভিড় বেশি হওয়ায় একটু অস্বস্তিবোধ করছি।

আরেক পর্যটক ফয়সাল আরেফিন বলেন, এই বছর সবচেয়ে বেশি লম্বা ছুটি পেলাম। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কক্সবাজার আসলাম। খুব ভালো লাগছে। 

রোহান নামে আরেক পর্যটক বলেন, সকালে বাস থেকে নেমেছি। নামার পর থেকে হোটেল খুঁজছি। কিন্তু সব বুকিং বলছে। কী করব, বুঝতে পারছি না।

কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, আমাদের হোটেলের প্রায় রুম বুকিং আছে। আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছি। পর্যটকের এই চাপ আগামী কয়েকদিন থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সি সেইফ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ ওসমান গনি বলেন, কক্সবাজার এই মুহূর্তে অর্ধলাখ পর্যটক আছে। বিকেলে চাপ আরও বাড়বে। আমাদের জনবল কম হাওয়ায় সামাল দিতে একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি যৌথবাহিনী কাজ করছে। কোনো পর্যটক হয়রানির শিকার হলে, অভিযোগ পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সাইদুল ইসলাম ফরহাদ/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *