নাটোরের গুরুদাসপুরে দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর দিন অসুস্থ হয়ে চৈতন্য সরকার (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) চৈতন্যর দাহ করার পর তার আপন মামা কিরণ হালদারও (২৯) মারা গেছেন। অতিরিক্ত মদপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাটোরের গুরুদাসপুরে দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর দিন অসুস্থ হয়ে চৈতন্য সরকার (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) চৈতন্যর দাহ করার পর তার আপন মামা কিরণ হালদারও (২৯) মারা গেছেন। অতিরিক্ত মদপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
এখনও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন আবির পাল (২৩) ও শান্ত দাস (২৪) নামের দুই যুবক।
কয়েক ঘণ্টাও ব্যবধানে দুইজনের অকাল মৃত্যুতে শোকে কাতর হয়ে পড়েছে তাদের পরিবার। চৈতন্য সরকার গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজার পাড়া মহল্লার গনেশ সরকারের ছেলে। তিনি স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। চৈতন্যর মামা কিরণ হালদার নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা সদরের সুকুমার হালদারের ছেলে।
জানা গেছে, সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর দিন অতিরিক্ত মদপানে চৈতন্য সরকারর মৃত্যু হয়। শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন চৈতন্যর বাবা গনেশ সরকার, মা রীনা সরকার ও বোন তুলশী সরকার। ফলে মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
চৈতন্যের চাচাতো ভাই নরোত্তম সরকার বলেন, প্রতিমা বিসর্জন দিতে নৌকায় উঠে ছিল চৈতন্য। রোববার সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে পেটে ব্যাথা অনুভব করে। তাৎক্ষণিক গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১১টার দিকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোর ৪টার দিকে হাসপাতালেই চৈতন্যর মৃত্যু হয়। পরদিন দুপুরে চৈতন্য দাহ করতে গিয়ে বমি শুরু করেন মামা কিরণ। অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকায় তিনিও মারা যান।
এদিকে একই ঘটনায় চাঁচকৈড় বাজারস্ত অসিম পালের ছেলে আবির পাল ও পরিমল দাসের ছেলে শান্ত দাস অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা নিহত চৈতন্যর প্রতিবেশী ও বন্ধু। বিজয়া দশমীর দিন একই নৌকায় তারা ছিলেন বলে জানা গেছে।
অসুস্থ আবির পালের বাবা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসীম পাল বলেন, দশমীর রাত থেকে ছেলে আবির পেটের ব্যাথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুরু হয় বমি-পায়খানা। সে বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে আবির মদপানে অসুস্থ হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে চৈতন্য নামের ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, মদপানে মৃত্যু হয়েছে এমনটা শুনেছি।
গোলাম রাব্বানী/আরকে