দক্ষিণ লেবাননের ২৫টি শহর খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের

দক্ষিণ লেবাননের ২৫টি শহর খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের

লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বিমান হামলার পাশাপাশি তারা স্থলপথেও হামলা চালাচ্ছে। এমন অবস্থায় দক্ষিণ লেবাননের ২৫টি শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।

লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বিমান হামলার পাশাপাশি তারা স্থলপথেও হামলা চালাচ্ছে। এমন অবস্থায় দক্ষিণ লেবাননের ২৫টি শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।

এসব শহরের বাসিন্দাদের অবিলম্বে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে উত্তর দিকে চলে যেতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলার মধ্যে সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ২৫টি শহরের বাসিন্দাদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যাওয়ার আদেশ জারি করেছে।

ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই লেবাননের এই শহরগুলোর বাসিন্দাদের তাদের বাড়িঘর ছেড়ে আওয়ালি নদীর উত্তরে চলে যেতে বলেছেন।

খালি করতে বলা শহরের তালিকার মধ্যে রয়েছে— বোরঘোলিয়েহ, কাসমিয়েহ, নবী কাসিম, আল-মাতারিয়াহ, খারায়েব, মাজরাত কাউথারিয়েত এল রেজ, আনসার, বাবলিয়াহ, দেইর তাকলা, আদলউন এবং আনসারিয়েহ।

এছাড়াও মেরুয়ানিয়েহ, জেফতা, বাফারুয়েহ, হাব্বাউচ, নাবাতিহ, সেজউদ, জবা, আনকউন, বানাফউল, কেননারিত, জেইতা, আরনায়া, মাজরাত মাতারিয়েত জবা এবং তানবোরিত শহরগুলোও এই তালিকায় রয়েছে।

আদ্রাই বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই শহরের বাসিন্দাদের “উপযুক্ত পরিস্থিতিতে” ফিরে আসার অনুমতি দেবে।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননের কয়েক ডজন শহর থেকে মানুষজনকে সরে যাওয়ার আদেশ জারি করেছিল। পরে তেল আবিব সেসব ওই এলাকায় বিমান ও স্থল হামলা চালায়।

মূলত ইসরায়েল গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলার নামে লেবাননজুড়ে বিশাল বিমান হামলা শুরু করেছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ৪৮৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও ৪ হাজার ২৯৭ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের বর্বর এই আক্রমণের কারণে ১০ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

টিএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *