নীলফামারীর ডোমারে ওয়েল্ডিং মেশিনের সাহায্যে পেট্রোল পাম্পের তেলের ড্রামের লিকেজ বন্ধ করার সময় বিস্ফোরণে সোহাগ আলী (৩২) নামে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চিলাহাটি বাজারের চৌরাস্তা এলাকায় আব্দুল্লাহ হ্যাচারি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
নীলফামারীর ডোমারে ওয়েল্ডিং মেশিনের সাহায্যে পেট্রোল পাম্পের তেলের ড্রামের লিকেজ বন্ধ করার সময় বিস্ফোরণে সোহাগ আলী (৩২) নামে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চিলাহাটি বাজারের চৌরাস্তা এলাকায় আব্দুল্লাহ হ্যাচারি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
সোহাগ আলী উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের পাটোয়ারী পাড়া লিচু তলা গ্রামের এলাকার ইরফান আলীর ছেলে। তিনি পেট্রোল পাম্পটির ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ফিলিং স্টেশনের তেলের ড্রাম লিকেজ ধরা পড়লে তা বন্ধ করতে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রী ডাকা হয়। লিকেজ বন্ধ করতে ওয়েল্ডিং করছিল মিস্ত্রী। এসময় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার সোহাগ। হঠাৎ ড্রামটিতে বিস্ফোরণ ঘটলে সোহাগের একটি পা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান চিলাহাটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটের সদস্যরা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া পথে তিনি মারা যান।
চিলাহাটি ফায়ার সার্ভিসের লিডার নুর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ড্রামে তেল রেখেই ওয়েল্ডিং করা হচ্ছিল। এ কারণে তেল গরম হয়ে ড্রামের ভেতর আগুন ধরে যায় আর ড্রামের ঢাকনাটি খুলে পেট্রোল পাম্পটির ম্যানেজারের দুই পায়ে আঘাত করে। একটি পা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আর আরেকটি ভেঙে যায়। এছাড়া প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে ডোমার উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথেই তিনি মারা গেছেন।
শরিফুল ইসলাম/আরকে