তসবিহ-পাসপোর্টসহ আরও যা পাওয়া গেছে সিনওয়ারের কাছে

তসবিহ-পাসপোর্টসহ আরও যা পাওয়া গেছে সিনওয়ারের কাছে

দখলদার ইসরায়েলের হামলায় গত বুধবার প্রাণ হারান হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি দাবি করেছেন, সিনওয়ারের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা), অস্ত্র এবং নিরাপত্তা ভেস্ট পাওয়া গেছে।

দখলদার ইসরায়েলের হামলায় গত বুধবার প্রাণ হারান হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি দাবি করেছেন, সিনওয়ারের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা), অস্ত্র এবং নিরাপত্তা ভেস্ট পাওয়া গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ কয়েকটি জিনিসের একটি ছবি প্রকাশ করেছে। সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, সিনওয়ারের সঙ্গে এসব জিনিস পাওয়া গেছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এতে রয়েছে একটি পাসপোর্ট, আল-আকসা মসজিদের ছবি সংবলিত দুটি বই, হাত ঘড়ি, নেইল কাটার, তজবিহ, মেন্টস চকলেট, একটি গুলি, আতর, স্কচটেপ এবং টুথপেস্ট সদৃশ্য কাজগের সবুজ বাক্স।

তবে যে পাসপোর্টটি মিলেছে সেটি সিনওয়ারের নয়। এটি আরেক ব্যক্তির। যিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হয়ে কাজ করতেন। এই পাসপোর্ট সিনওয়ার কেন বহন করছিলেন সেটি নিশ্চিত নয়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, যেসব সেনা সিনওয়ারকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিলেন তারা জানতেন না ওই ব্যক্তি সিনওয়ার ছিলেন। হামলার পর সেখানে গিয়ে সিনওয়ারের মতো দেখতে এক ব্যক্তির মরদেহ খুঁজে পান তারা। এরপর পরিচয় নিশ্চিত হতে প্রথমে মরদেহটির আঙুল ইসরায়েলে পাঠানো হয়। এরপর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যায়, ইসরায়েলি সেনারা নিজেদের অজান্তে সিনওয়ারকে হত্যা করেছেন।

কে এই ইয়াহিয়া সিনওয়ার?

ইয়াহিয়া সিনওয়ার ১৯৬২ সালে গাজার খান ইউনিস শরণার্থী ক্যাম্পে জন্ম গ্রহণ করেন।

তার পরিবারের আদি বাসস্থান ছিল মাজদাল আসকালানে। পরবর্তীতে দখলদার ইসরায়েল যার নাম দেয় আসকেলন। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের ভোটাভুটির মাধ্যমে ইসরায়েলের সৃষ্টি হওয়ার পর সিনওয়ারের পরিবারকে মাজদাল আসকালান ছেড়ে গাজার খান ইউনিসে চলে যেতে হয়। সেখানে শরণার্থী হিসেবে জীবন শুরু করেন তারা।

সিনওয়ার তার জীবনের ২২ বছর দখলদার ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। ১৯৮৮ সালে দুই ইসরায়েলি সেনাকে জিম্মি এবং তাদের হত্যা করায় সিনওয়াকে আটক করা হয়েছিল। ২০১১ সালে বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি পান তিনি।

সিনওয়ার যখন কারাগারে ছিলেন তখন ইসরায়েলি সরকার তাকে পর্যবেক্ষণ করে বলেছিল, তিনি ‘দয়ামায়াহীন’ এবং ‘শক্তিশালী’।

ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি থাকার সময় হিব্রু ভাষা আয়ত্ত করেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার।

২০১৭ সালে হামাসের গাজা শাখার প্রধান হন তিনি। এরপর চলতি বছরের জুলাইয়ে ইসমাইল হানিয়া যখন গুপ্তহত্যার শিকার হন তখন তিনি হামাসের প্রধান নেতার দায়িত্ব পান।

দখলদার ইসরায়েলে গত বছরের ৭ অক্টোবর যে হামলা চালানো হয় সেটির ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে অভিহিত করা হয় সিনওয়ারকে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আলজাজিরা, বিবিসি

এমটিআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *