ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১২ দিন ধরে চিকিৎসা নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন সাহারা খাতুন (৭৬) নামের এক বৃদ্ধা। পথে তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ইউটার্ন নিতে গেলে একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি হয়। এতে বদ্ধা সাহারা খাতুন প্রাণ হারান। আহত হন তার ছেলে, মেয়ে ও মেয়ের জামাই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১২ দিন ধরে চিকিৎসা নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন সাহারা খাতুন (৭৬) নামের এক বৃদ্ধা। পথে তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ইউটার্ন নিতে গেলে একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি হয়। এতে বদ্ধা সাহারা খাতুন প্রাণ হারান। আহত হন তার ছেলে, মেয়ে ও মেয়ের জামাই।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জের বারদী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ওই বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাহারা খাতুনের মেয়ে আহত রওশনারা বেগম বলেন, আমার মা শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন। আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে আমার মাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এতে করে আমরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের বাবুরহাট এলাকার উদ্দেশে রওনা হই। তিনি বলেন, আমরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বারদী এলাকায় পৌঁছালে সড়কে যানজট থাকায় চালক উল্টো পথে যাওয়ার চেষ্টা করেন। উল্টোপথে যাওয়ার সময়ও সড়কে যানজট ছিল। পরে চালক অ্যাম্বুলেন্স ঘুরিয়ে ব্রিজের নিচ দিয়ে ইউটার্ন নিতে যান। সে সময় একটি বাসের সঙ্গে আমাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
তিনি বলেন, তখন আমার মা, আমার ভাই, আমার স্বামী, অ্যাম্বুলেন্স চালক ও আমি গুরুতর আহত হই। পরে আমাদের গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক জানান যে, আমার মা আর বেঁচে নেই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আহত অবস্থায় চারজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। এর মধ্যে সাহারা খাতুন নামে এক বৃদ্ধাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায় যে, সকালে ঢাকা মেডিকেল থেকে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এসএএ/কেএ