ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসিমউদদীন হল ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ থেকে বোমা সদৃশ দু’টি বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা বোমা সদৃশ বস্তু দু’টিকে ‘গ্রেনেড’ বলে ধারণা করছেন অনেকে। এছাড়া, হল ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিউল সুমনের কক্ষ থেকে একটি রামদা ও দু’টি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসিমউদদীন হল ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ থেকে বোমা সদৃশ দু’টি বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা বোমা সদৃশ বস্তু দু’টিকে ‘গ্রেনেড’ বলে ধারণা করছেন অনেকে। এছাড়া, হল ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিউল সুমনের কক্ষ থেকে একটি রামদা ও দু’টি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে কবি জসিমউদদীন হলের ২২২ নম্বর কক্ষ থেকে দু’টি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়। বস্তু দুটি উদ্ধারের পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে সেগুলো নিয়ে যায়।
জানা গেছে, কবি জসিমউদদীন হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লুতফুর রহমান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপগণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাকিম হোসেন রিয়াদ। এছাড়া, ৫২০ নম্বর কক্ষে থাকতেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ওয়ালিউল সুমন (সুমন খলিফা)।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলেন, হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লুতফুর রহমানের রুমে বোমা সদৃশ দু’টি বস্তু পাওয়া যায়। এ সময় হলের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে পুলিশকে জানানো হলে তারা বোমা উদ্ধার করতে ডিসপোজাল ইউনিট ডাকে। এ নিয়ে হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
তারা বলেন, আমাদের হলের ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন খলিফার কক্ষ থেকে বিকেলে একটি রামদা ও দু’টি ছুরি উদ্ধার করেছি আমরা।
হলের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মো. রবিউল হক ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ নেতাদের রুম থেকে এসব উদ্ধার করে। পরে ৬টার দিকে ২/৩টি গাড়িতে করে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে নিয়ে যায়। হলের স্যার ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে কবি জসিমউদদীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহীন খানকে একাধিকবার কল দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
কেএইচ/কেএ