ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মোকারম ভবনের ম্যানুয়াল কার্গো লিফটে উঠতে গিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত মো. আব্দুল্লাহ (৫০) নামের এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাবির সহকারী পরিচালক কর্মরত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মোকারম ভবনের ম্যানুয়াল কার্গো লিফটে উঠতে গিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত মো. আব্দুল্লাহ (৫০) নামের এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাবির সহকারী পরিচালক কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত আব্দুল্লাহ বাড়ি গাজীপুরের গাছা থানার কলেমশ্বর গ্রামে। তার বাবার নাম এসএম কাউসার উদ্দিন। স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়েকে নিয়ে গাজীপুরে থাকতেন তিনি। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস করতেন।
ঢাবির চারুকলা বিভাগের সহকারী রেজিস্টার মো. আলম ফারুক জানান, আব্দুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফিসের চারুকলা অনুষদের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ছিলেন। আজ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। ছাত্রছাত্রীদের সিট পড়েছিল মোকারম ভবনে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুল্লাহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের জন্য বরাদ্দ টাকা নিয়ে ভবনের উপরে উঠেছিলেন। ওই ভবনের লিফট ছিল অনেক পুরোনো, যেটা হাত দিয়ে টেনে খুলতে হয়। সাততলায় লিফটে চাপ দেন তিনি। লিফট আসার আগেই দরজা হাত দিয়ে খুলে লিফটে উঠতে পা বাড়ালে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। দেখতে পেয়ে ঢাবির অন্য স্টাফরা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তিনি মারা যান।
আব্দুল্লাহর ভাই মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমার ভাই সকালে লিফটে উঠতে গিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসে আহত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলের দিকে আমার ভাই ওসেকে মারা যান।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি শাহবাগ থানাকে জানানো হয়েছিল।
এসএএ/এসএসএইচ