ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ার্ড মাস্টার বানানোর হিড়িক পড়েছে। ছয়টি পদের বিপরীতে আটজন থাকলেও দেড় মাসের ব্যবধানে আরও দুজন করে চারজনকে ওয়ার্ড মাস্টার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যদিও একজনকে আগের পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ার্ড মাস্টার বানানোর হিড়িক পড়েছে। ছয়টি পদের বিপরীতে আটজন থাকলেও দেড় মাসের ব্যবধানে আরও দুজন করে চারজনকে ওয়ার্ড মাস্টার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যদিও একজনকে আগের পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিন ও মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমানকে বিভিন্ন অপরাধে হাতেনাতে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। তখন তাদের মৌখিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তাদের স্থলে আব্দুল আজিজ ও আইয়ুব আলীকে ওয়ার্ড মাস্টার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
চলতি বছরের আগস্ট মাসের ১৭ তারিখে তাদের এ দায়িত্ব দিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। এর ঠিক দেড় মাসের মাথায় অর্থাৎ ১ অক্টোবর কোনো কারণ ছাড়াই আব্দুল আজিজকে ওয়ার্ড মাস্টার থেকে তার আগের পদে ফিরিয়ে আনা হয়। নতুন করে অফিস সহায়ক মো. আজিম ও মো. আব্দুল আউয়াল লিটনকে ওয়ার্ড মাস্টারের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দায়িত্ব দিয়ে আরেকটি চিঠি ইস্যু করেন হাসপাতালের পরিচালক।
তবে, ওয়ার্ড মাস্টার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আইয়ুব আলী তার পদে ঠিকই বহাল আছেন। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কেবল আব্দুল আজিজকে। তাকে তার আগের পদে (সর্দার) পুনর্বহাল করা হয়েছে। একজনকে পদে রেখে আরেকজনকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ‘চরম বৈষম্যপূর্ণ’ বলে দাবি করছেন হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের ভেতরে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
এ প্রসঙ্গে আব্দুল আজিজ বলেন, চলতি বছরের ১৭ আগস্ট আমাকে ওয়ার্ড মাস্টার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে নতুন বিল্ডিংয়ে বদলি করা হয়। হঠাৎ জানতে পারি আমাকে আগের জায়গায় (সর্দার পদে) ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার কী অপরাধ, সেটা আমি জানি না। আমি নির্ভেজাল মানুষ। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে রেখেছি। অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই।
একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালটির ছয়টি ওয়ার্ড মাস্টারের (তৃতীয় শ্রেণি) পোস্ট রয়েছে। এখানে সরাসরি দুজন ওয়ার্ড মাস্টার ও দুজন চলতি দায়িত্বে আছেন। বাকিদের অতিরিক্ত দায়িত্বে ওয়ার্ড মাস্টার বানানো হয়েছে। সেখানে চলতি বছরের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত আটজন ওয়ার্ড মাস্টার ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর নানা অপরাধের কারণে ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর ও রিয়াজকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মৌখিকভাবে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, মৌখিক বরখাস্ত হওয়া ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ ও জিল্লুর রহমানকে ফের তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের নতুন ভবন ও বহির্বিভাগে তাদের নিয়োজিত করা হয়েছে। হাসপাতালের একজন বিশেষ সহকারী পরিচালকের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় তারা ফের কাজে যোগদানের সুযোগ পেয়েছেন। এরপর চলতি মাসের ১ অক্টোবর আরও দুজনকে ওয়ার্ড মাস্টারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আব্দুল আজিজকে কোনো কারণ ছাড়াই তার আগের সর্দার পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
জানা যায়, ওয়ার্ড মাস্টার একটি তৃতীয় শ্রেণির পদ। এইচএসসি পাশে সরাসরি এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু যাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের অনেকেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একইসঙ্গে তারা আব্দুল আজিজকে আগের পদে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিঠি দিয়ে যদি একজনকে ওয়ার্ড মাস্টার করা হয়, তাহলে কেন আবার তাকে নামানো হলো? ঢাকা মেডিকেলের ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক সেই ইতিহাস তৈরি করলেন।
তিনি (পরিচালক) কি কারও প্রেসক্রিপশনে এ কাজগুলো করছেন, নাকি এখানে অর্থ লেনদেনের বিষয় আছে— প্রশ্ন তোলেন ওই কর্মচারী।
দায়িত্বশীলরা বলছেন, ছয়টি পদের বিপরীতে কীভাবে হাসপাতালে ১২ জন ওয়ার্ড মাস্টার কাজ করেন— এটি আমাদের বোধগম্য নয়। কাজের স্বার্থে পরিচালক নিজ ক্ষমতাবলে ওয়ার্ড মাস্টারের দায়িত্ব অনেককে দিতে পারেন। কিন্তু চাইলেই কি সরাতে পারেন? যদি সরাতে হয় সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ বা কারণ উল্লেখ করে চিঠির দিতে হয়।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, আগের পরিচালক অর্থাৎ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকের সাড়ে তিন বছরের সময় বাবুল নামের একজন ওয়ার্ড মাস্টার অবসরে যান। তার স্থলে একজন ওয়ার্ড মাস্টার নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান দায়িত্বপালনের নয় মাসে চারজনকে ওয়ার্ড মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
বর্তমানে নিয়োজিত ১১ জন ওয়ার্ড মাস্টারের মধ্যে নতুন ভবনে দুজন, কেবিন ব্লকে দুজন ও বহির্বিভাগে দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুজন করে দায়িত্ব পাওয়ায় কাজে ধীরগতি আসবে বলে মনে করছেন হাসপাতালটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বলছেন, প্রত্যেক ওয়ার্ড মাস্টারের বসার জন্য আলাদা রুম প্রয়োজন। এখন একটি রুমের ভেতরে দুজন করে ওয়ার্ড মাস্টার ডিউটি করবেন।
সম্প্রতি হাসপাতালের পরিচালক, একজন সহকারী পরিচালক ও একজন চিকিৎসক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি প্রোগ্রামে সুইজারল্যান্ড ঘুরে এসেছেন। সেখানে পরিচালক ও সহকারী পরিচালক মিটিং করে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মচারী।
নিয়ম অনুযায়ী, একজন সহকারী পরিচালক তিন বছর ওই পদে থাকতে পারেন। অথচ চার বছর পার হলেও একই পদে বহাল আছেন সহকারী পরিচালক (অর্থ ও স্টোর) ডা. আশরাফুল আলম। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিয়ে পরিচালকদের বশে রেখেছেন এই সহকারী পরিচালক। এর আগের পরিচালককেও একইভাবে দেশের বাইরে ট্যুর পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
হাসপাতালটিতে এমনও কানাঘুষা আছে, সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুল আলমই হাসপাতালের অঘোষিত পরিচালক। হাসপাতালে পরিচালক পর্যায়ে আরও পাঁচ কর্মকর্তা আছেন। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোনো সিদ্ধান্তে তাদের মতামত নেওয়া হয় না। নামমাত্র তারা চেয়ারে বসে আছেন। অঘোষিত পরিচালকের কথাই সেখানে শেষ কথা!
ওয়ার্ড মাস্টার নিয়োগের বিষয়ে যা বলছেন উপপরিচালক
নতুন করে ওয়ার্ড মাস্টার নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে গত ৩ অক্টোবর জানতে চাওয়া হয় হাসপাতালের উপপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মুহাম্মদ নূরুল ইসলামের কাছে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগস্টে দুজন ওয়ার্ড মাস্টারের বিষয়ে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুর রহমান আমাকে জানিয়েছিলেন। তখন বিষয়টি জানতাম।
গত ১ অক্টোবর আরও দুজনকে ওয়ার্ড মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আপনি জানেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি হাসপাতালের একজন উপপরিচালক (প্রশাসন)। পরিচালক না থাকলে ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করি আমি। সর্বশেষ দুজনকে ওয়ার্ড মাস্টার নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো চিঠি আমি দেখিনি। যদি এটি ১ তারিখে (অক্টোবর) অর্ডার হয় থাকে আজ ৩ অক্টোবর, এখন পর্যন্ত আমার কাছে এ ধরনের কোনো চিঠির কপি আসেনি।’
এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি ডিডি (উপপরিচালক), অ্যাডমিন। আমিই জানি না! ডিডি অ্যাডমিনকে না জানিয়ে বা তার নলেজ ছাড়া এটা কীভাবে হয়?’
ওয়ার্ড মাস্টার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ মনে করলে কাউকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কাজ আদায় করে নিতে পারেন। এখানে পরিচালক সবকিছু তার একক সিদ্ধান্তে করেছেন। প্রশাসনে যারা আছেন, তাদের সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সবাইকে অন্ধকারে রেখে সিদ্ধান্ত নিলে সেখানে প্রশ্ন থেকেই যায়।’
কর্তৃপক্ষ চাইলে কাউকে দায়িত্ব বা পদোন্নতি দিয়ে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে পারেন কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু চিঠিতে লেখা আছে সাময়িকভাবে দায়িত্ব, এক্ষেত্রে এটি করা যায়। কাজ চালানোর জন্য সাময়িকভাবে তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হলে কর্তৃপক্ষ আবারও তাকে ফিরিয়ে নিতে পারে। আর যদি পদোন্নতি হয়, সেক্ষেত্রে সেটি করা যায় না। কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন থেকে যায়। অর্ডার হয়েছিল দুজনের, কিন্তু একজন প্রিয়পাত্র হয়ে গেলেন, তাকে রাখলাম। তাহলে অপরজন কী দোষ করলেন যে তাকে আবার আগের জায়গায় ফেরত পাঠালাম। বিষয়টি বোধগম্য নয়!’
‘আজিজ কী দোষ করেছে আর আইয়ুব আলী কী পুণ্যের কাজ করেছে যে একজনকে রাখলাম, আরেকজনকে ফেলে দিলাম! আবার একই সময়ে নতুন আরও দুজনকে দায়িত্বে নিয়ে আসলাম। এটা কি ট্রায়াল চলতেছে, এটা কি ট্রায়ালের জায়গা?’
ওয়ার্ড মাস্টার নিয়োগের বিষয়ে অবৈধ কোনো লেনদেন হয়েছে কি না— জানতে চাইলে ডা. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আগে টাকাপয়সার লেনদেন হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে এমন কথা আমার কানে এসেছে। তবে, নতুন করে টাকাপয়সার লেনদেন হয়েছে কি না, সেটা আমি জানি না। আগে যে লেনদেন হয়েছে সেটা জায়েজ করার জন্যই কি এখন এই প্রমোশন?’
সর্বশেষ ৯ অক্টোবর উপপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মুহাম্মদ নূরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। এ সময় তিনি বলেন, ‘১ তারিখের (অক্টোবর) অর্ডার হওয়া চিঠি আট কর্মদিবস পার হলেও আমি এখনও তা পাইনি।’
অভিযোগ উঠেছে, চলতি মাসের ১ তারিখে (অক্টোবর) অর্ডার হলেও এর অনুলিপি হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান, উপপরিচালক (প্রশাসন,অর্থ ও স্টোর), সহকারী পরিচালক (প্রশাসন, অর্থ ও স্টোর), ওয়ার্ড মাস্টারসহ ১০ জনের কাছে যাওয়ার কথা। কিন্তু দুজন সহকারী পরিচালক ছাড়া অন্য কেউ এ চিঠি পাননি।
সহকারী পরিচালক (অর্থ ও স্টোর) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, গত ১ অক্টোবর একটি অর্ডার হয়েছে শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি পাইনি।
তবে, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আব্দুর রহমান অর্ডার কপি ‘হাতে পেয়েছি’ বলে জানান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘চিঠিটি আমার অফিসে আছে।’
যা বলছেন হাসপাতালের পরিচালক
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টেকে বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে এখানে কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি। তবে, কেউ করে থাকলে সেটি আমার জানা নেই। আর হাসপাতালে ওয়ার্ড মাস্টার যাদের করা হয়েছে, এটা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই হয়েছে। যখন ছয়জন ওয়ার্ড মাস্টার ছিল তখন ওয়ার্ডের সংখ্যা কম ছিল। আপনিই বলেন, নতুন ভবন কি একজন ওয়ার্ড মাস্টার দিয়ে চালানো যায়?
‘কাজের সুবিধার্থে কিছু পদ বাড়ানো হয়েছে। আমাদের এখানে ওয়ার্ড মাস্টার তিনজন। বাকিদের প্রমোশন দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সিলেকশন করে যোগ্য ও ভালো মনে হয়েছে যাদের, কেবল তারাই দায়িত্ব পেয়েছে।’
একজন ওয়ার্ড মাস্টারকে আগের পদে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুজন আছেন। তাদের মধ্যে বহির্বিভাগে একজন অবসরে চলে যাবেন। কাজ বুঝে নেওয়ার জন্য কয়েকদিন ওভারল্যাপিং হয়েছে। কেবিনেও দুজন দেওয়া আছে। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের চাহিদা অনুযায়ী এগুলো করা হয়েছে।
‘ওয়ার্ড মাস্টার, ওয়ার্ড বয়, আয়া— এগুলো আমার কাছে খুবই ছোট বিষয়। আমি একা সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব কাজ করি না। আমি রাত পর্যন্ত হাসপাতালে থাকি এবং কাজ করি। হাসপাতালের ভালোর জন্যই কাজগুলো করা। এটার পেছনে কারও কোনো অবৈধ উদ্দেশ্য আছে কি না, সেটা আমি বলতে পারব না।’
সর্বশেষ (১ অক্টোবর) ওয়ার্ড মাস্টার নিয়োগ সংক্রান্ত অর্ডারের চিঠি উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা কেন পেলেন না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কে চিঠি পেল আর কে পেল না, সেই কৈফিয়ত তো আপনাকে দিতে পারব না। সব বিষয় যদি এডি (সহকারী পরিচালক) বা ডিডিদের (উপপরিচালক) জানাতে হয় তাহলে আমি এখানে কী জন্য আছি?’
‘আমি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হলেও সবার কনসার্ন নিয়েই কাজ করি। একটি কাজ করতে গেলে কেউ যদি বিরোধিতা করে, সেক্ষেত্রে সবাইকে রাজি করিয়ে কাজ করা তো মুশকিল। আমি এতটুকু বলতে পারি, সবকিছু সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করা।’
এসএএ/এমজে