ঢাকা কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মো. সিয়াম (১১) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে আজিমপুর ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
ঢাকা কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মো. সিয়াম (১১) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে আজিমপুর ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে বারোটায় এ ঘটনা ঘটে।
কলেজ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আজ ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় ঢাকা কলেজের মাঠে খেলতে আসে আজিমপুরের ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। খেলা শেষে দুপুর বারোটার পরে পুকুরে গোসল করতে নামে তারা। এ সময় হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম পানিতে তলিয়ে যায়। সঙ্গীরা চেষ্টা করেও তাকে আর উদ্ধার করতে পারেনি।
বিষয়টি কলেজ প্রশাসনের নজরে আসার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহযোগিতা চাওয়া হয়। ডুবুরি দল এসে পানির নিচ থেকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে নিউমার্কেট থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।
সিয়ামের চাচা নুরুল ইসলাম বলেন, আজকে মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারণে তারা মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে ঢাকা কলেজের মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায়। খেলা শেষে তারা গোসল করতে ঢাকা কলেজের পুকুরে নামে। সবাই উঠে আসলেও সিয়াম পুকুরের মাঝখানে চলে যায় এবং কিছুক্ষণ পরে সে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আমার ভাতিজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমার ভাতিজা ফয়জুল উলুম মাদ্রাসায় থেকেই লেখাপড়া করত। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার পাঁচালী গ্রামে। সে ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকা কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মারা যান রাশিদুল হাসান ইমন নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি রাজধানীর বনশ্রী আইডিয়াল কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র ছিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে রামপুরা বনশ্রী থেকে ঢাকা কলেজে বেড়াতে এসে পুকুরে গোসল করতে নামলে এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর বহিরাগতদের পুকুরে গোসল করার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করে কলেজ প্রশাসন। তবে, এই নজরদারি বেশিদিন থাকেনি।
আরএইচটি/এসএএ/কেএ