আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। তবে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনাকর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বরাবর জবাবদিহি করতে হবে এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সব জেলার জেলা প্রশাসকদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনাকর্মকর্তাদের। তারা প্রতিদিন কী কার্যক্রম চালালেন, সে বিষয়ে ডিসিদের অবহিত করতে হবে। এ বিষয়ে আজই জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনাকর্মকর্তাদের কাছে এ নির্দেশনা পৌঁছতে পারে।
এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের জন্য এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারা দেশে প্রয়োগ করতে পারবেন।
‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
এমএম/এমজে