ডিএমপি, ডিবি ও পুলিশ সদর দপ্তরে শুনসান নীরবতা

ডিএমপি, ডিবি ও পুলিশ সদর দপ্তরে শুনসান নীরবতা

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় পুলিশ স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ লুটপাট। এমন অবস্থায় ভেঙে পড়েছে পুলিশের চেইন অব কমান্ড। আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা লাপাত্তা হয়েছেন।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় পুলিশ স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ লুটপাট। এমন অবস্থায় ভেঙে পড়েছে পুলিশের চেইন অব কমান্ড। আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা লাপাত্তা হয়েছেন।

গতরাতে যখন পুলিশ সদর দপ্তরে হামলা হয়, তখন হেলিকপ্টারে করে আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করা।

একাধিক থানা থেকে ফোন করে হামলার খবর জানানো হলেও কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

রাজধানীর ৫১ থানার মাত্র চারটি থানা বাদে আক্রান্ত হয় সব। বহু হতাহতের শঙ্কা করা হচ্ছে। এমন অবস্থার মধ্যেও কোনো খোঁজ মেলেনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ডিএমপি মিডিয়া, ডিবি অফিস ও ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ডিএমপি হেডকোয়ার্টারের সামনে নিরাপত্তা দায়িত্বে নেই কোনো পুলিশ সদস্য। যে ডিবি অফিসে ঢুকতে কড়াকড়ি ছিল, সেখানেও নেই কোনো নিরাপত্তা কর্মী কিংবা সদস্য। ডিউটি অফিস, ডিএমপি এবং সেন্টারের ভেতরে নেই কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। 

ডিবির অফিসের সামনে দেখা যায় এক দল সেনাবাহিনীকে। বহিরাগতরা যাতে ভেতরে প্রবেশ করে লুটতরাজ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ কিংবা অস্ত্র লুট করতে না পারে, সেজন্য নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন তারা।

সেখানে দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা এখন নিরুপায়। আমাদের বড় স্যারেরা পালিয়েছেন। আমরা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে থেকেও দায়িত্ব ভেবেই রয়ে গেছি এখনো। জানি না কী হবে, তবে পুলিশে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন দরকার। 

যোগাযোগ করা হলে আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, ডিএমপির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে কারো সংযোগ পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী। কোনো পুলিশ সদস্যকে সেখানে পাওয়া যায়নি। রেখে যাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল, কাগজপত্র ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।

তেজগাঁও থানায় সরজমিনে দেখা যায়, বাইরে থেকে প্রধান ফটকে তালা লাগানো। ভেতরে সব স্থাপনা ও যানবাহন অক্ষত অবস্থায় দেখা গেছে। তবে এই থানায় কাউকে পাওয়া যায়নি।

জেইউ/কেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *