ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ করেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দুইজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া গত সাত দিনে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নয়জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ করেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দুইজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া গত সাত দিনে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নয়জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, জুলাই থেকে থেকেই হঠাৎ করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। আর সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ৭ দিনে মোট নয়জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
ভর্তি রোগীর মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া সদর হাসপাতালের তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁও জেলাতেও দুইজন রোগী স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তারা কোনোদিন ঢাকা বা অন্য কোনো জেলায় যাতায়াত করেননি।
ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসে চিকিৎসা নেওয়া মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি ঢাকায় ব্যবসার কাজে গিয়েছিলাম। দীর্ঘ ১ মাস পরে আমি বাসায় ফিরলে আমার জ্বর অনুভূত হতে থাকে। পরে ডাক্তার দেখালে আমার ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। বর্তমানে আমি এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি।
রুহিয়া থানার অন্তর্গত শুকান্ত বর্মন বলেন, আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করি। সেখান থেকে আমি আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জাহিন মিঠু বলেন, জুলাইয়ের শেষে থেকেই ঠাকুরগাওয়ে ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বরে এসে এর মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। গত কয়েকদিনেই আমাদের এখানে নয়জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও থেকেও দুইজন আক্রান্ত হয়ে আমাদের এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং দিনে বা রাত্রে ঘুমানোর সময় মশারি টাঙাতে হবে। এছাড়া অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
আরিফ হাসান/এফআরএস